ঢাকা ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বেসরকারি খাতে চাল আমদানির নীতিগত অনুমোদন

বেসরকারি খাতে চাল আমদানির নীতিগত অনুমোদন

বৈদেশিক উৎস থেকে বেসরকারি খাতে আমদানিকৃত চাল স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। জানা গেছে, সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সুসংহত রাখার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উৎস থেকে চাল সংগ্রহ করা হয়। আন্তর্জাতিকভাবে জিটুজি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চাল আমদানি করা করা হয়। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের আওতায় বৈদেশিক উৎস থেকে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল প্রাপ্তি ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ঘাটতি পূরণ, সরকারি বিতরণব্যবস্থা সচল রাখা ও নিরাপত্তা মজুদ নিশ্চিতকরণের স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে ১ লাখ টন চাল বৈদেশিক উৎস থেকে বেসরকারি খাতে আমদানিকৃত/আমদানিতব্য স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়ের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। এই ক্রয় করা চালের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে। সূত্র জানায়, ২০০৭, ২০০৮ ও ২০১৭ সালে বৈদেশিক উৎস থেকে স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে চাল আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছিল। বর্তমান অর্থবছরে সরকারি পর্যায়ে চালের মোট চাহিদা ধরা হয়েছে ৩৯.৭৮ লাখ টন। সর্বশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে খাদ্য মজুদ আছে ৯ লাখ ২৭ হাজার ৯০৩ টন চাল এবং ৩ লাখ ৪৪ হাজার ১৪৯ টন গমসহ মোট ১২ লাখ ৮১ হাজার ২৬৫ টন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত