ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

জারবেরা ফুল চাষে সাফল্য

জারবেরা ফুল চাষে সাফল্য

অল্প জমিতে কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকেই। ফুলের চাষ বাড়াতে আগ্রহীদের সহায়তা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। নব্বইয়ের দশকে বগুড়া শহরের খোকন পার্কের সামনে কিছু ব্যবসায়ী গোলাপ ফুল বিক্রি শুরু করেন। বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে ফুলের চাহিদাও বাড়তে থাকে। ২০০০ সালের দিকে এসে ফুলের চাহিদা দ্বিগুণ হয়। তখন মহাস্থানগড়, শিবগঞ্জ, গাবতলী, সোনাতলা উপজেলায় গোলাপ ও গাঁদা ফুল চাষ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে গোলাপ, ভুট্টা, গ্ল্যাডিয়া, রজনীগন্ধা চাষ শুরু করেন ফুল চাষিরা। এবার বগুড়ায় কৃষিতে নতুন সংযোজন হয়েছে জারবেরা ফুল। সদর উপজেলার সাবগ্রাম ইউনিয়নের গোবরধনপুর গ্রামের আফছার আলী ২০২২ সালে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেন জারবেরা ফুল চাষ। এক বিঘা জমিতে তিনি টিস্যু কালচারের মাধ্যমে চাষ শুরু করেন। পলিনেট হাউজ নামে তার বাগানে লাল, সাদা, হলুদ, পিংক, মেজেন্টা, কমলা, রানী গোলাপি ও জাম রঙের জারবেরা ফুল রয়েছে। চারা রোপণের তিন মাসের মধ্যেই প্রথম সফলতা পান এ চাষী। দুই বছরে তার ৮ লাখ টাকা খরচ হলেও ফুল বিক্রি করেছেন প্রায় ৩০ লাখ টাকার। চাষি আফছার আলী সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কারও পেয়েছেন। দুই দিন পর পর ফুল তুলে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ ঢাকায় বিক্রি করছেন। আফছার আলী জানান, রং অনুযায়ী চারাগুলো আলাদা আলাদা সারিতে রোপণ করা হয়েছে। জারবেরা চাষে খরচ বেশি হলেও লাভও বেশি। খরচ বেশি হওয়ার প্রধান কারণ জারবেরা বাগানের ওপরে পলিশেড দিতে হয়। একটি শেডেই খরচ পড়ে প্রায় ৬ লাখ টাকার মতো। তবে একবার শেড দিলে সেটি পাঁচণ্ডছয় বছর পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী থাকে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সরকারিভাবে শেড তৈরি করে দেয়া হয়েছে। এতে তার খরচ অনেকটা কমে গেছে। জারবেরার চারা রোপণের ৯০ দিনের মধ্যেই ফুল দেয়। প্রতিদিন বাগান থেকে ২০০-২৫০টি ফুল তোলা যায়। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার সোনাতলা, গাবতলী ও সদর উপজেলায় বেশি ফুল চাষ হচ্ছে। বিগত দিনে এত ফুল চাষ হতো না। ইদানীং চাষ বেড়েছে। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান ফরিদ জানান, উচ্চ মূল্যের এ ফুল চাষে চাষিদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। বগুড়ার আবহাওয়া ও মাটি ফুল চাষের জন্য উপযোগী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত