এ বছরের মতো পর্দা নামল অমর একুশে গ্রন্থমেলার। গতকাল শুক্রবার ছিল মেলার শেষদিন। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, যারা তরুণ চিন্তার লালন করে তাদের বাংলা একাডেমিতে সংযোগ নেই। এখানে শুধু প্রবীণদের পদচারণা। আমরা এটা বদলাতে চাই। বাংলা একাডেমি যেন স্থবির হয়ে না পড়ে সে জন্য তরুণ চিন্তার লালনকারীদের এখানে ঠাঁই দিতে হবে।
উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, আমরা মনে করি বাংলা একাডেমির সংস্কার প্রয়োজন। এতে লেখক, গবেষক ও গুণীজনেরা কাজ করবেন। গুণীজন হিসেবে প্রবীণদের সঙ্গে তরুণ লেখকরাও যুক্ত হবেন। আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি, নবীনরা বাংলা একাডেমিতে যুক্ত হতেন না। এমনকি বর্তমান মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম আগে বাংলা একাডেমির সাধারণ সদস্যও ছিলেন না। আমরা এমনটা চাই না। আমরা আশা করব তারা যেন দ্রুত বাংলা একাডেমির সংস্কার রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ের জমা দেন। তিনি বলেন, আমরা এমন পরিস্থিতিতে মেলার আয়োজন করেছি যখন দেশে পুলিশ নেই। মানুষ নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজের আশপাশে পাহারা দিচ্ছেন। এ সময়ে এসেও আমরা সফলতার সঙ্গে মেলা সফলভাবে শেষ করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে সীমানার অন্য পাশ থেকে প্রোপাগাণ্ডা চালানো হচ্ছে তা আমরা কাজের মাধ্যমে দূর করার চেষ্টা করছি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে এ দেশে সবাই স্টেকহোল্ডার। কারণ এ দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে হাসিনাকে বিদায় করেছে। ’২৪-এর অভ্যুত্থান একটি সাংস্কৃতিক অভ্যুত্থানও। এ সাংস্কৃতিক অভ্যুত্থানের পরে সাংস্কৃতিক কাজকে আরও বেগবান করতে দেশের সব কালচারাল সংগঠনগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যার অংশ হিসেবে কুষ্টিয়াকে মিউজিক্যাল টাউন, পানাম নগরকে কালচারাল টাউন করার জন্য মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় তিনি বইমেলা কেন্দ্রিক সব পুরস্কার বিজয়ীদের ধন্যবাদ জানান। বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্ব) মো. মফিদুর রহমান, বইমেলার সদস্য সচিব ড. আমিন সরকার। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।