বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আদর্শ করে গড়ে তুলতে পারিনি। আমরা প্রত্যাশা করি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে উঠবে। এখান থেকে আদর্শ ও চরিত্রবান নাগরিক বের হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। গতকাল রাজধানীর নয়া পল্টনে একটি কনভেনশন হলে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিলে দোয়া মুনাজাত পরিচালনার আগে এসব কথা বলেন তিনি। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে এ ইফতারের আয়োজন করে ইসলামী ছাত্র শিবির।
জামায়াত আমির বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে এ জাতি মুক্তি ও স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু এ প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি। এ সময় জুলাই আন্দোলনে শহিদদের মাগফিরাত ও আহতদের মুক্তি কামনা করে ডা. শফিকুর রহমান। সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৬ বছর ফ্যাসিজমের করালগ্রাসে শতাধিক নেতাকর্মীকে হারিয়েছি আমরা। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছিল। এই গুম হওয়া নেতৃবৃন্দদের অনেকের লাশ পেয়েছি। অনেকে আহত হয়ে ফিরে এসেছেন। এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। এই শিবির নেতা আরও বলেন, এই অভ্যুত্থানে শিবিরের নেতাকর্মীরা ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু আমরা বলেছি এই আন্দোলনে একক কোনো নেতা বা মাস্টারমাইন্ড নেই। এই আন্দোলনের ক্রেডিট শহিদ, আহত ও গাজী ছাত্র-জনতার।