ঢাকা শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘শাহবাগিদের আবির্ভাব বরদাশত করা যায় না’

‘শাহবাগিদের আবির্ভাব বরদাশত করা যায় না’

সারা দেশে ধর্ষণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের নেতাকর্মীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করতে গেলে পথে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় গণজাগরণ মঞ্চের নেত্রী ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি লাকী আক্তারের নির্দেশে পুলিশের ওপর হামলা চালান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন রাজনীতিবিদ, ছাত্রনেতা, অ্যাক্টিভিটিসসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া লাকীসহ পুলিশের ওপর হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে ঢাবি ও রাবিসহ বেশ কয়েকটি ক্যাম্পাসে। এদিকে গতকাল বুধবার সকালে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টের মাধ্যমে শাহাবাগিদের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ওই পোস্টে ইশরাক বলেন, কুখ্যাত গণজাগরণ মঞ্চের (শাহবাগি) কতিপয় নেতাকর্মীর আবির্ভাব কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। এই মঞ্চের মাধ্যমে জুডিশিয়াল কিলিং, বাংলাদেশের আলেম সমাজের ওপর নির্মম নির্যাতন, ২০১৪ সালে খুনি হাসিনার ক্ষমতা দখল এবং বিএনপিসহ বিরোধী দলমত দমনে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ পরবর্তী ১০ বছর ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েমের ভিত গড়ে তোলা হয়েছিল। এদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো বিকল্প নেই।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, বিকাল সাড়ে ৩টায় ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রা নামে নারী-পুরুষসহ ৬০-৭০ জনের একটি বিক্ষোভকারী দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে বাধা দেয়। এসময় পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। নিকটবর্তী স্থানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করলে তারা উলটো পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে মারমুখী আচরণ আরম্ভ করে। এসময় বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের নখের আঁচড়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে তারা পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন গুরুতর আহত হন। এছাড়া হামলাকারীদের আঘাতে রমনা ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ সদস্য এবং তিনজন পুরুষ কনস্টেবল আহত হন। পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের মাধ্যমে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত