গত শনিবার ২৬ এপ্রিল বেলা ১১টায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলার কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বায়ুবিদ্যুৎ লাগোয়া ভাঙা বেড়িবাঁধ এলাকায় ফেস্টুন হাতে নিয়ে দাঁড়ান সুনাম কুমার শীল (১৪) ও দীপঙ্কর শীল রকি (১১)। ‘সাগরের পানি চাই না ঘরে, আমাদের দাবি সরকারের তরে’ স্লোগানে একটি ফেস্টুন ওই দুই শিশুর হাতে ছিল। তারা দুজনই আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বাসিন্দা নয়। তবুও প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে বড়ঘোপ এলাকা থেকে বায়ুবিদ্যুৎ ভাঙা বেড়িবাঁধ এলাকায় এসেছেন তারা।
ওইদিন শুধু তারা নয়, কুতুবদিয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন অনেক ছাত্র-জনতা। অনেকেই গায়ে পিঠে নানা স্লোগান লিখে পানিতে নেমে গানে গানে অভিনব প্রতিবাদ জানান।
সুনাম কুমার শীল ও দীপঙ্কর শীল রকি দ্বীপের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার বিষয়ে বর্ণনা দেন। তাদের একটিই দাবি, তারা পড়তে চায়, শিখতে চায়, নিরাপদে ঘুমাতে চায়। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলে তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
সুনাম কুমার শীল বলেন, ‘পড়তে বসলে যদি পানির ভয় থাকে কীভাবে শিখব, কীভাবে বড় হবো। তাই টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই। আমরা নিরাপদে ঘুমাতে চাই। একই কথা জানালেন দীপঙ্কর শীল রকিও। দীপঙ্কর শীল রকি বলেন, নিরাপদে বাঁচতে চাই। সরকারের সুদৃষ্টি চাই। টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।
কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের দক্ষিণের গ্রাম তবলের চরের বাসিন্দা চাঁদ মুল্লুক (৭৫)। এখনও তার মজবুত শরীর। হালচাষসহ পরিবারের কাজকর্ম নিজেই করেন। সামুদ্রিক ঝড়-ঝাপটার সঙ্গে লড়াই করে তার এ পর্যন্ত আসা। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ঙ্ককরী ঘূর্ণিঝড়ের সময় চাঁদ মুল্লুক ছিলেন যুবক। সেই দিনের সব স্মৃতি এখনও তার চোখের সামনে ছলছল করে। তিনি বলেন, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বাড়ির পাশে একটি সাইক্লোন সেল্টারে রেখে আসি। আশপাশের বয়োবৃদ্ধ লোকজনকে উদ্ধারে নেমে পড়ি। ততক্ষণেই বেড়িবাঁধ উপচে লোনা পানি ঢুকে গলা সমান। কোনো মতে গাছের ঢাল ধরে বাঁচে চাঁদ মুল্লুক। চাঁদ মুল্লুক বলেন, চোখের সামনেই স্বজন পাড়াপড়শী, সহায়-সম্বল ভেসে যায়। মাছ ধরার বড় বড় ট্রলার আছড়ে পড়ে মানুষের বাড়িঘরে। তার মতে, বেড়িবাঁধ না থাকায় সেই দিন প্রাণহানি ও সম্পদ রক্ষা করা যায়নি।
২৯ এপ্রিলের সেই ঝড়ে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কুতুবদিয়া উপজেলা। ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল ৯৯ দশমিক ৭৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপ। প্রাণ হারায় অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে কয়েক হাজার পরিবার। গত তিন দশকে সাগরের ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে এ দ্বীপের আরও প্রায় ৬০ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। দ্বীপের দক্ষিণে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের খুদিয়ারটেক ও রাজাখালী নামে দুটি মৌজার তিন হাজার একর জমি সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে প্রতিনিয়ত ছোট হচ্ছে সাগরকন্যা খ্যাত এই দ্বীপ।
দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, ১৯৬০ সালের ঘর্ণিঝড়ের পর দ্বীপের চারপাশে ৪০ কিলোমিটার উঁচু করে বেড়িবাঁধ দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বেড়িবাঁধটি ক্ষয়ে যায়। ১৯৯১ সালের ঘর্ণিঝড়ের পরে কয়েকটি এলাকায় বাঁধ সংস্কার হলেও বেশিরভাগ এলাকা এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এই উপজেলায় মানুষের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে। লোনাপানির আগ্রাসনে ফলছে না ফসল, পাওয়া যাচ্ছে না সুপেয় পানি। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে জমি বিলীন হচ্ছে সাগরে। চারিদিকে বেশকিছু স্থানে বেড়িবাঁধ না থাকায় ঝুঁকিতে বসবাস করছে বহু পরিবার। এমন একটি এলাকা উত্তর ধুরং ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে চোখের পানি ছেড়ে দেন। কায়সারপাড়া এলাকার বাসিন্দা রবিউল হুসাইন বলেন, ‘বেড়িবাঁধ না থাকায় এখানকার মানুষরা চরম সংকটে দিন কাটায়। এদের জীবন পুরোপুরি নিয়তিনির্ভর। এখানে অল্প একটু স্থানে বেড়িবাঁধ আছে বলেই মানুষ রক্ষা পাচ্ছে। বাড়িঘর হারিয়ে অনেকে এই বাঁধের উপরেই আশ্রয় নিয়েছে।
মাঠ ঘুরে দেখা গেল, উত্তর ধুরংয়ের একটি বড় অংশ অর্থাৎ কুতুবদিয়ার উত্তর অংশ একেবারেই বেড়িবাঁধবিহীন। কায়সারপাড়ায় মাত্র এক হাজার ফুট বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর পাশে কিছু অংশে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বেড়িবাঁধ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, উপজেলা ছয়টি ইউনিয়নের বহু এলাকা বেড়িবাঁধহীন। উত্তর ধুরং ইউনিয়নের পূর্ব চর ধুরং, পশ্চিম চর ধুরং, কায়সারপাড়া, মেয়ারাকাটা, নজু বাপেরপাড়া, ফইজানীপাড়া, কুইলারপাড়া, আকবর বলীর পাড়ায় বেড়িবাঁধ নেই। দক্ষিণ ধুরং ইউনিয়নের অলীপাড়া ও বাতিঘর পাড়া বেড়িবাঁধহীন।
লেমশিখালী ইউনিয়নের সদরউদ্দিন ও পেয়ারা কাটায় বেড়িবাঁধ নেই। কৈয়ারবিল ইউনিয়নের উত্তর কৈয়ারবিল, আইজ্জার খামার, মৌলভী পাড়া, ঘিলাছড়ি ও পরাণ সিকদার পাড়ায় বেড়িবাঁধ নেই। বড়ঘোপ ইউনিয়নের চিরনপাড়া ও কাজিরপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ নেই। উপজেলার দক্ষিণে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের হায়দার পাড়া, তাবালর চর, বায়ুবিদ্যুৎ এলাকা, পূর্ব তাবালর চর, কুমিরাছড়া জেলেপাড়া, আনিসের ডেইল, মোরালিয়া, আমজা খালী এলাকার বেড়িবাঁধ বিপন্ন। ফলে এসব এলাকার মানুষ ঝুঁকিতে বসবাস করছে।
উত্তর ধুরং এলাকায় সাংবাদিক যাওয়ার খবরে ছুটে আসেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম। তিনি বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, উত্তর ধুরং ইউনিয়নের চারটি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি। দ্রুত জিওব্যাগ না দিলে ঘরবাড়ি রক্ষা কঠিন হয়ে পড়বে। সম্প্রতি স্থাপন করা জিওব্যাগগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ার কথা তুলে ধরেন।
কুতুবদিয়া সমিতি ও উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক হুমায়ুন সিকদার বলেন, দ্বীপের ৬-৭ বছরের বসতি শুরু থেকে আজ পর্যন্ত পারাপারে ভোগান্তি লাঘবের দায়িত্ব কেউ পালন করেনি এবং অরক্ষিত দ্বীপকে সুপার ডাইকে বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে রক্ষাসহ উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা দরকার বলে জানান। চারিদিকে সমুদ্রে ঘেরা এ উপজেলার উৎপাদিত পণ্য দ্রুত পরিবহনের অভাবে প্রতিবছর আর্থিকসহ বিবিধ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা। কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বলেন, আলী আকবর ডেইলের বায়ুবিদ্যুৎ এলাকা দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে ফসল হানি হচ্ছে। বর্ষার আগেই যেসব ভাঙা অংশ রয়েছে তা মেরামত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, টেকনাফসহ জেলার উপকূলীয় এলাকার ১৭টি পয়েন্ট বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব পয়েন্ট জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করার জন্য ৫০ কোটি টাকার চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৫ কোটি টাকার বরাদ্দ নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে, কুতুবদিয়াকে সুপার ডাইকের আওতায় আনতে এরইমধ্যে সমীক্ষা শেষ করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করার কাজ চলছে।
ভাঙ্গা বেড়িবাঁধের উপর দাঁড়িয়ে গানে গানে অভিনব প্রতিবাদ : কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া অবহেলিত জনপদ। ১৯৯১ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে এই উপজেলায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছিল। বিলীন হয়েছিল বিস্তীর্ণ লোকালয়। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ৩৪ বছর পার হলেও এখনও টেকসই বেড়িবাঁধ পায়নি হতভাগ্য কুতুবদিয়াবাসী। ফলে অরক্ষিত এই দ্বীপ ক্রমেই বিলীন হয়েছে সাগরের করাল গ্রাসে। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছে অনেক মানুষ। বছরের পর বছর সাগরের সঙ্গে যুদ্ধ করে কোনো রকম টিকে আছে অন্যরাও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, টেকসই বেড়িবাঁধ দেওয়া জন্য অসহায় দ্বীপবাসী নানাভাবে আকুতি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও কুতুবদিয়াকে রক্ষা করতে কোনো সরকার সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি; শুধু আশার বাণী শুনিয়েছে। তাই সরকারের নজর কাড়তে এবার একটি ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানিয়েছে দ্বীপের একদল যুবক। তারা শীরের বুকে-পিঠে নানা স্লোগান লিখে, হাতে প্ল্যাকার্ড ধরে গানে গানে কুতুবদিয়াকে বাঁচাতে মনের গহীন থেকে আকুতি জানিয়েছেন। ভয়াল ২৯ এপ্রিল ৩৪ বছর পূর্ণতাকে সামনে রেখে গত শনিবার উপজেলার আলী আকবর ডেইলে এলাকায় ভাঙ্গা বেড়িবাঁধের উপর দাঁড়িয়ে এমন অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। সেখানে তারা ‘হোক প্রতিবাদ মুক্তি চাই, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই’ শিরোনামের একটি গানের কথায় কথায় টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি জানিয়েছে কুতুবদিয়ার ওই যুবকরা। এমন অভিনব প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
আয়োজকরা জানান, প্রতিবছর বর্ষায় দ্বীপের কোনো না কোনো পয়েন্ট দিয়ে সাগরের করালগ্রাসে বিলীন হয়ে আসছে। কিন্তু সুপার ডাইক বেড়িবাঁধের আশ্বাস দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য দ্বীপের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের নামে শুধু লুটপাট হয়েছে। তাই, বর্তমান সরকারের কাছে সেনাবাহিনী ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের মাধ্যমে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
তারা বলেন, দ্বীপের মানুষের প্রতিবাদের ভাষা গানে গানে ও আল্পনার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলে অবিলম্বে টেকসই বেড়িবাঁধ দাবি জানাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। এই আয়োজনের প্রধান শাহীন আবরার বলেন, ‘মাথা গোঁজার ঠাঁই রক্ষার অধিকার চেয়ে নানাভাবে প্রতিবাদ জানানে জানাতে আমরা ক্লান্ত। এই দ্বীপকে রক্ষা করতে মন্ত্রণালয়ে কয়েক হাজার আবেদন পড়ে আছে। সরকারের দপ্তরে দপ্তরে পড়ে আছে ফাইল। কিন্তু কখনও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই এবার একটার ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানিয়েছি।
আয়োজক ইমরান কায়েস বলেন, ‘যখন যে সরকার এসেছে বা যারাই জনপ্রতিনিধি হয়েছে; সবাই আমাদের সামনে মুলা ঝুলিয়েছে। কেউ এই দ্বীপের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল রক্ষায় কাজ করেনি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। সরকারের নজর কাড়তে এই ব্যতিক্রমী প্রতিবাদটি জানিয়েছি। আশা করি তা সরকারের নজরে গেলে সুপার ডাইক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে কুতুবদিয়াবাসীকে রক্ষা করবেন।
বেড়িবাঁধ ও ফেরি বাস্তবায়নের দাবিতে নানা কর্মসূচি আজ : কুতুবদিয়া টেকসই বেড়িবাঁধ ও ফেরির দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক এহসান আল-কুতুবী বলেন, ‘আমরা বসতভিটা হারিয়ে উদ্বাস্তু হতে চাই না, কুতুবদিয়ায় হোক শেষ ঠিকানা’ স্লোগানকে সামনে রেখে টেকসই বেড়িবাঁধ ও ফেরির দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে ২৯ এপ্রিল নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কাপনের পরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থা। সকাল ১০টায় কুতুবদিয়া সমিতি, কক্সবাজারের আয়োজনে র্যালি ও স্মারকলিপি প্রদান এবং বাদ জোহর দোয়া মাহফিল। বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে কুতুবদিয়া সমিতির আয়োজনে টেকসই বেড়িবাঁধ ও ফেরির দাবিতে মানববন্ধন। একই সময়ে ঢাকা, রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দ্বীপশিখার আয়োজনে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে মানববন্ধন। উক্ত কর্মসূচিতে যে যার অবস্থান থেকে কুতুবদিয়া রক্ষার আন্দোনে যুক্ত হয়ে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।