লালমনিরহাটে এবার ব্যাপকহারে দেশি ও হাইব্রিড জাতের করলা চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ থেকে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। একই সঙ্গে তারা বাজারে সবজিটির কাঙ্ক্ষিত দামে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। লালমনিরহাটে এবার উৎপাদিত করলা বাজারে উঠছে মাস দুয়েক আগে থেকেই। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এবার জেলায় গ্রীষ্মকালীন করলার বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় ও অর্থকরী হওয়ায় সবজিটি আবাদ করে জেলার বহু কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। ফলে দিন দিন করলা চাষে বাড়ছে আগ্রহী কৃষকের সংখ্যা। সদর উপজেলার কোদালখাতা গ্রামের করলা চাষি ইসলাম। তিনি এক বিঘা জমিতে ৪ বছর ধরে দেশি ও হাইব্রিড জাতের করলা চাষ করছেন। এবার বীজ, মাচা তৈরি ও শ্রমিকের মজুরিসহ তার প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত করলা বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
একই উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের কয়েকজন চাষি জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ১০০ মণ থেকে ১২০ মণ করলা উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমান দরে করলা বিক্রি করতে পারলে খরচ বাদে প্রতি বিঘা ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন।
আরও বেশ কয়েকজন চাষি জানান, করলার রোগবালাই খুবই কম। কোনো কোনো সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে গাছ শুকিয়ে যায় কিংবা পচন ধরে। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শে রোগ বুঝে ওষুধ প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়। জেলা শহরের গোশালা বাজারের আড়তদাররা বলেন, কৃষকরা করলা নিয়ে এলে আমরা তা অন্য জেলার বেপারিদের কাছে বিক্রি করে দেই। লালমনিরহাটে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, লালমনিরহাট কৃষিপ্রধান জেলা। এ জেলায় করলাসহ ধান ও ভুট্টার পাশাপাশি প্রায় সব ধরনের সবজির চাষ হয়। বরাবরের মতো এবারও করলা চাষ করে জেলার কৃষকরা ভালো লাভবান হয়ছেন। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। দিন দিন জেলায় করলার চাষ বাড়ছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছেও জানান কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা।