জনগণকে বিভক্ত করে নিজেদের রাজনৈতিক পক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে সরকারের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ না করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৫০ বছর উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জনগণকে বিভক্ত করে, তাদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হয় এরকম তৎপরতা চালাবেন না। নিজেদের রাজনৈতিক পক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে আপনারা আপনাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করবেন না। আপনাদের কোনো ভূমিকা জনগণের মধ্যে যেন কোনো অনৈক্য সৃষ্টি না
করে সেটা আপনাদের সর্বাগ্রে বিবেচনায় রাখা দরকার।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ মানুষ বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন চায়। এই তিনটা একসাথে চলতে হবে। এই তিনটার সঙ্গে কেউ কোনো বিরোধ লাগিয়ে, কোনো কিছু প্রলম্বিত করা জনগণ মানবে না।’
সরকারের নানা কর্মকাণ্ডে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘আপনারা কাউকে কাউকে ছাড় দিচ্ছেন যার একটু শক্তি বেশি। আবার কাউকে রাজনৈতিকভাবে অপছন্দ করলে সেখানে দীর্ঘসূত্রিতা করবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের যে বৈশিষ্ট্য তার সঙ্গে এমন আচরণ যায় না।’ দেশের সংকট মোকাবিলায় সব রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে নিবিড় আলোচনার আহ্বান জানান সাকি। তিনি বলেন, ‘সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করে জনগণের মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনুন। ভারতের উগ্র-ফ্যাসিস্ট বিজেপি সরকার যে ধরনের নীতি গ্রহণ করছেন; তার বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যই হচ্ছে আমাদের অস্ত্র, শক্তি। এছাড়াও আমাদের অনেক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।’
চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম বিদেশি কোম্পানির কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার নিন্দা জানান সাকি। তিনি বলেন, ‘আপনারা বিদেশিদের কাছে দিতে চট্টগ্রাম বন্দর দিতে চান, কী পদ্ধতিতে এটা দেওয়া হচ্ছে আপনারা সেটা খোলাসা করেন নাই। জনগণ একমত কি না সেটা আপনারা জিজ্ঞাসা করেন নাই। এভাবে কাজ করার এখতিয়ার আপনদের নাই। আপনাদের উচিত রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা।’
?নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সহযোগী, দোসররা এখনও ওত পেতে আছে বলে সমাবেশ থেকে সতর্কবার্তা দেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘ওতপেতে থাকা ফ্যাসিস্টের সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তারাই দেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে।’