ঢাকার ধামরাইয়ে এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে, দামও ভালো। এতে হাসি ফুটেছে প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভুট্টা বাম্পার ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে ভুট্টা ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। ভুট্টার দামও ভালো। ভুট্টা চাষ ধানের থেকে সহজ এবং শ্রমিক কম লাগায় সবাই ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমি। কিন্তু আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৫৭২ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। কৃষকদের দেওয়া হয়েছে প্রণোদনা। নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছে কৃষি অফিস। এ বছর চাষ হয়েছে স্বর্ণালি ভুট্টা, বারি এবং হাইব্রিড-৬, ৭, ৮ জাতের ভুট্টা। এছাড়া চাষ হয়েছে সুব্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাইব্রিড জাতের ভুট্টা। আবহাওয়া ভালো থাকায় রেকর্ডসংখ্যক জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। শিল্পাঞ্চল বাড়ার কারণে আবাদি জমি কমলেও ফসলের উৎপাদন কমেনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধামরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়নে ভুট্টার চাষ হয়েছে। বেশি ভুট্টা চাষ হয়ছে, কুল্লা, রোয়াইল, সোমভাগ, গাংগুটিয়া ও বালিয়া ইউনিয়নে। গত বছরের তুলনায় এবার উৎপাদন অনেক বেশি। ভুট্টা চাষে খরচ কম, আয় বেশি। অনেক কৃষক ধান চাষ বাদ দিয়ে ভুট্টার দিকে ঝুঁকেছেন। প্রতিটি গ্রামেই ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে। চাষিরা স্বপ্ন দেখছেন ভাগ্য বদলের। চোখে-মুখে আনন্দের ছাপ।
সোমভাগ ইউনিয়নের ভালুম গ্রামের কৃষক মান্নান বলেন, ভুট্টা চাষে খরচ কম, আয় বেশি। তাই কৃষকরা ধান ছেড়ে ভুট্টার দিকে ঝুঁকছেন। আমি এবার ৩ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, এ বছর ধামরাই উপজেলায় ২ হাজার ৫৭২ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে বেশি। এবার ঝড় না হওয়ায় কোনো ক্ষতি হয়নি ভুট্টা চাষিদের। ধানের তুলনায় খরচ কম হওয়ায় কৃষক ভুট্টার দিকে ঝুঁকছেন। আবহাওয়া ছিল অনুকূলে। কৃষকরা কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, শিল্পাঞ্চল বাড়লেও ভুট্টা ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ভালো। ভুট্টার রোগবালাইও কম হয়। ফলে দিন দিন ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
