ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

লালমনিরহাটে তেজপাতার বাণিজ্যিক চাষ

লালমনিরহাটে তেজপাতার বাণিজ্যিক চাষ

তেজপাতা একটি মসলা জাতীয় ফসল। বাংলাদেশের রান্নাঘরে বা রেস্টুরেন্টে তেজপাতা ছাড়া রান্না হয় না। তরকারি ছাড়াও বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরিতেও তেজপাতা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তেজপাতার অনেক ঔষুধি গুণও রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক জেলায় তেজপাতার গাছ দেখা গেলেও বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ কম দেখা যায়। লালমনিরহাট জেলায় বাণিজ্যিকভাবে তেজপাতার আবাদ হচ্ছে।

এর মধ্যে লালমনিরহাট জেলার ৫টি সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও দুটি লালমনিরহাট, পাটগ্রাম পৌরসভায় প্রায় প্রতিটি এলাকায় আবাদ হচ্ছে। একটি গাছ থেকে বছরে দুইবার পাতা তোলা যায়। জানা যায়, প্রথমে জমি প্রস্তুত করে তেজপাতার চারা রোপণ করতে হয়। এরপর জমিতে প্রতি বছর সেচ দিতে হয়। বছরে দুই বার সার দিতে হয়। অন্য ফসলের তুলনায় তেজপাতা চাষে খরচ কম। জেলার ফুলগাছ গ্রামের তেজপাতা চাষি নুর আমীন বলেন, তেজপাতা চাষে তেমন খরচ হয় না।

চারা লাগানো আর একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলেই চলে। রোগবালাই বলতে তেমন কিছুই নেই। তবে বসন্তের সময় একটু পোকা লাগে। সেই সময় একটি ওষুধ স্প্রে করতে হয়। পার্শ্ববর্তী কোদালখাতা গ্রামের তেজপাতা চাষি আফসার আলী বলেন, তেজপাতা সাথী ফসল হিসেবে চাষ করা যায়।

এতে একসঙ্গে দুই ধরনের ফসল পাওয়া যায়। লালমনিরহাটের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, আমরা তেজপাতাগাছ লাগাতে মানুষকে উৎসাহিত করছি। চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে তেজপাতা চাষে এগিয়ে এসেছেন। এ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষকরা লাভবান হবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত