মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে ‘শপথের’ আনুষ্ঠানিকতা বাদ থাকলেও কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। গতকাল শুক্রবার তার ফেইসবুক পোস্টে ইশরাক হোসেন লিখেছেন, শপথ শুধু একটা ফরমালিটি। জনতার মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব বর্তায় আগামী কোরবানির ঈদের আগে যাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে। আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করছি, উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করব। দক্ষিণে সাবেক কাউন্সিলর ও বিগত নির্বাচনের প্রার্থীদের সমন্বয় করে একটি জোনভিত্তিক মনিটরিং টিমের অনুমোদন দেব। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয়, সেজন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ।
অন্যদিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ওইদিনই আন্দোলন শুরু করেন তার সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়ে নগর ভবন। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ফেইসবুক পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন ইশরাক। তার সমর্থকরাও একই দাবি তোলেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ওই রিট মামলা খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এরপর ওইদিন বিকালে শপথ পড়ানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ইশরাক। কোরবানির ঈদের দিন ঢাকা দক্ষিণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করবেন বলেও ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন এই বিএনপি নেতা। ঈদের দিন বিকালের মধ্যে ‘স্বস্তিদায়ক’ পরিবেশ তৈরির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবেন জানিয়ে তিনি শুক্রবার লিখেছেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে আমি নিজেও থাকব।