ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী

মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী

চাকরি ছেড়ে খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপার নারী উদ্যোক্তা খুশি খাতুন। মাত্র ১২টি মুরগির বাচ্চা দিয়ে শুরু করলেও এখন তার খামারে উৎপাদন হয় বিভিন্ন জাতের কয়েক হাজার বাচ্চা। যা থেকে প্রতি মাসে আয় করছেন কয়েক লাখ টাকা। তার সফলতা দেখে তৈরি হচ্ছে নতুন উদ্যোক্তা।

সরেজমিন দেখা যায়, বাড়ির সামনে একটি টিনের ঘর। সেখানে আলাদা আলাদা করে করে রাখা হয়েছে কয়েক জাতের মুরগীর বাচ্চা। আর তা দেখভাল করছেন নারী উদ্যোক্তা খুশি খাতুন। কখনও খাবার দিচ্ছেন আবার কখনও মুরগিগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। গ্রাম থেকে ডিম সংগ্রহ করে তা ইনকিউবেটরের মাধ্যমে উৎপাদন করছেন বিভিন্ন জাতের বাচ্চা।

যা বিক্রি করছেন দেশের বিভিন্ন জেলায়। আর তা থেকেই প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের এই নারী উদ্যেক্তা।

মাত্র ১২টি ব্রয়লার দিয়ে মুরগি পালন শুরু করলেও পরবর্তীতে মুরগি পালনের পাশাপাশি তিনি বাণিজ্যিকভাবে বাচ্চা উৎপাদন শুরু করেছেন। এখন প্রতি মাসে তিনি শুধুমাত্র বাচ্চাই বিক্রি করেন ৪ হাজার। অন্যদিকে কিছু বাচ্চা বড় করে ৪ থেকে ৫শ’ কেজি মাংস বিক্রি করেন। আত্মনির্ভরশীলতার জন্য কষ্টের বিকল্প নেই, সেটিই যেন প্রমাণ করেছেন এই নারী উদ্যোক্তা। চাকরি ছেড়ে খামার করে নিজে যেমন স্বাবলম্বী হয়েছেন, তেমনি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন এলাকার মানুষেরও।

তাকে দেখে অনেকেই এখন আগ্রহী হচ্ছেন উদ্যোক্তা হতে। নারী উদ্যোক্তা খুশি খাতুন জানান, তার খামারে টাইগার, দেশি, ব্রাহমা, ফাহমি, তিথীর, সোনালি, কালার বার্ড, টার্কিসহ প্রায় ১২ জাতের মুরগির বাচ্চা উৎপাদনের পাশাপাশি পালন করে থাকেন। এসব মুরগি ও মাংস বিক্রি করে মাসে আয় করেন প্রায় ৪ লাখ টাকা। ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতিকুজ্জামান জানান, এই উদ্যোক্তাকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত