ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চাইলেন এনসিপি নেতা মাসউদ

নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চাইলেন এনসিপি নেতা মাসউদ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ নিতে দেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি করে এই পর্যবেক্ষণ দেন। এই রায়ের পর গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। ফেসবুক পোস্টে মাসউদ লিখেছেন, অবশেষে আপিল বিভাগও অবজারভেশন দিল, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে, তারা পক্ষপাতিত্ব করেছে। তিনি আরও লেখেন, এমন অবজারভেশনের পর এই দালাল কমিশনের অধীনে জুলাই-পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের আর বৈধতা রইল না। নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থার কথা জানিয়ে মাসউদ লিখেছেন, এই নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। ওনারা যা করেছেন, তা স্রেফ জুলাইয়ের সঙ্গে গাদ্দারি। পোস্টের শেষাংশে তিনি লিখেছেন, শপথ নিয়েই শপথ ভঙ্গ করেছেন, হুদা-আওয়ালদের মতো একটা দলকে সার্ভ করা শুরু করেছেন, দেশকে নয়।

ভুল স্বীকার করলেন হান্নান মাসউদ, নোটিশ প্রত্যাহার এনসিপির

রাজধানীর ধানমন্ডির একটি ঘটনায় কারণ দর্শানোর দলীয় নোটিশের জবাব দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক পর্ষদের সদস্য আবদুল হান্নান মাসউদ। জবাবে তিনি ভুল স্বীকার করেছেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না বলে দৃঢ় অঙ্গীকার করেছেন। গতকাল দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এনসিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, দলের রাজনৈতিক পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হান্নান মাসউদের ওপর আরোপিত কারণ দর্শানো নোটিশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ২১ মে হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশটি দিয়েছিল এনসিপি। আগের দিন ২০ মে ধানমন্ডির একটি ঘটনার জেরে এই নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে বলা হয়েছিল, ধানমন্ডি থানার আওতাভুক্ত একটি আবাসিক এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে তিনজন ব্যক্তিকে আটক করে থানা-পুলিশ। এই তিনজনের অন্যতম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে নৈতিকতা স্খলনের কারণে আগেই অব্যাহতি প্রদান করে কেন্দ্রীয় কমিটি। তা সত্ত্বেও হান্নান মাসউদ সংশ্লিষ্ট থানায় উপস্থিত হয়ে আটক তিনজনের মুচলেকা প্রদান করে থানা থেকে ছাড়িয়েছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হান্নান মাসউদকে ব্যাখ্যা এবং তাঁর বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত বিবরণ তিন দিনের মধ্যে এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের কাছে উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল। গতকাল এনসিপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উল্লিখিত তিন কার্যদিবসের মধ্যে হান্নান মাসউদ কারণ দর্শানোর নোটিশের লিখিত ও মৌখিক জবাব দলের রাজনৈতিক পর্ষদের কাছে পেশ করেন। নোটিশে উল্লেখিত কর্মকাণ্ডে ভুল ছিল বলে তিনি স্বীকার করেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না বলে দৃঢ় অঙ্গীকার করেন তিনি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, থানায় আটককৃত ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে হান্নান মাসউদের সম্পৃক্ততা ছিল না বলে প্রমাণসাপেক্ষে প্রতীয়মান হয়েছে। এ কারণে দলের রাজনৈতিক পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁর ওপর আরোপিত কারণ দর্শানো নোটিশ প্রত্যাহার করা হলো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত