ভারতে আওতাধীন জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার পর ভারতের একপেশে মনোভাব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরেকটি কূটনৈতিক পরাজয় বলে মনে করছেন অনেকে। ওই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রগুলো নয়াদিল্লির প্রত্যাশা অনুযায়ী সমর্থন প্রদানে দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছে। কারণ, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই পাশ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানকে ওই হামলার জন্য দায়ী করে রাতারাতি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাকে কেউ ভালো চোখে দেখেনি। পাকিস্তানের প্রতি সঙ্ঘাতমূলক অবস্থান গ্রহণ করে ভারত অভিযোগ তোলে যে সীমান্ত পার উগ্রবাদীরা এই হামলার জন্য দায়ী। তবে ভারতের প্রতিক্রিয়া হঠাৎ ছিল না। এটি গত দশক ধরে গড়ে ওঠা একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ ছিল। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার শুধুমাত্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের দিকে না তাকিয়ে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ভারতের ভূমিকা পুনঃনির্ধারণের জন্য একটি বৃহত্তর কৌশল অনুসরণ করছে। তারা চায়, ভারত এমন একটি শক্তিশালী দেশে পরিণত হোক, যার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ভারত পেহেলগামের ঘটনাকে তার অবস্থান আরো দৃঢ় করার সুযোগ হিসেবে দেখেছিল। তারা বিশ্বাস করেছিল যে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি তাদের জন্য অনুকূল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি, কোয়াড অ্যালায়েন্সে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং চীনের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান তাদের আশ্বস্ত করেছিল যে কৌশলগত অংশীদাররা নিঃশর্ত সমর্থন প্রদান করবে। অন্যদিকে, পাকিস্তান অর্থনৈতিক সঙ্কট, পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা, চীনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে দুর্বল অবস্থায় ছিল। তবে ভারত হতাশ হয়েছে যে তারা তাদের আক্রমণাত্মক আচরণকে আন্তর্জাতিকভাবে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য প্রত্যাশিত সমর্থন অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষের পক্ষ নিতে চায়নি। বরং কৌশলগত স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। চীন পাকিস্তানের সঙ্গে মিত্রতা বজায় রেখেছে এবং উপসাগরীয় দেশগুলোও এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করেছে। তুরস্কও পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে গেছে।
ওয়াশিংটন ভারতকে সমর্থন করেনি। পেহেলগাম হামলার সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারত সফরে ছিলেন, যা এ ধারণা জন্মায় যে ওয়াশিংটন পরোক্ষভাবে ভারতকে সমর্থন করবে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেননি। তার মন্তব্য থেকে পরিষ্কার যে তিনি দুই দেশের মধ্যে সঙ্ঘাতে আগ্রহী নন। কারণ, এ অঞ্চলে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষিত মিত্র।
সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক ও প্রতিরক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান সিনেটর মুশাহিদ হুসেন মন্তব্য করেছেন, ‘ট্রাম্প, যিনি ঐতিহ্যগতভাবে ভারতপন্থী মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন না, তিনি মৌলিকভাবে যুদ্ধবিরোধী এবং ‘যুদ্ধপ্রেমী ভারতীয়দের’ মদদ দিতে চান না।’
মার্কিন কর্মকর্তাদের বিবৃতির মধ্যেও এই সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে সাক্ষাতের পর মার্কিন প্রতিরক্ষা উপ-সচিব এলব্রিজ কলবি পাকিস্তান, উগ্রবাদ বা পেহেলগাম হামলার কথা উল্লেখ না করে প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় সাধারণ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাথে আলোচনা করেছেন, যেখানে তারা উগ্রদের নিন্দা, সহনশীলতা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখার জন্য দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তার মার্কিন প্রতিপক্ষ প্যাট হেগসেথকে টেলিফোনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই পুরনো অভিযোগই তুলেছিলেন। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সরকারী বিবৃতিতে পেহেলগাম বা পাকিস্তানের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে মার্কিন বিশ্লেষক ড্যানিয়েল মার্কি বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে যে ভারতের নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে হবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান অনিশ্চিতপরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন ভারতের প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও সামরিক অভিযানে ভারতকে সবুজ সংকেত দিতে পারবে না।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই মনোভাবকে পাকিস্তানের অবস্থানের সমর্থন হিসেবে দেখা উচিত নয়। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর, পেন্টাগন এবং সিআইএ ভারতকে সমর্থন করতে পাকিস্তানের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে, যদিও ইসলামাবাদ স্বাধীন তদন্তের দাবি করছে। বাস্তবতা হলো, কোনো বড় দেশ -বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র- স্পষ্টভাবে ভারতকে সমর্থন করেনি। মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ় প্রমাণ ছাড়া কোনো পক্ষ নিতে আগ্রহী নয়। বিশ্ব গণমাধ্যম যখন প্রশ্ন তোলে, কেন ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি, তখন সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়। ফলে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার মতো আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড় করা ভারতের পক্ষে এবার অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থানের জন্য অনেক পশ্চিমা দেশ অসন্তুষ্ট। কারণ, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে, যা পশ্চিমাদের বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক লক্ষ্যকে ব্যাহত করছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসুদ খান বলেন, ওয়াশিংটনে পুনর্বিবেচনা চলছে। তার মতে, ‘ভারত যেন আমেরিকার পিঠে চড়ে বসেছে, অথচ বিনিময়ে কিছুই দিচ্ছে না।’ তিনি আরো বলেন, ভারত একগুঁয়ে ও অপমানজনক আচরণ করেছে। কিন্তু কোনো পরিণতির মুখোমুখি হয়নি। মার্কিনীরা জানে যে কিভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে হয়। এখন তারা বুঝতে পারছে, ভারত কেবল তাদের ব্যবহার করছে। আর তারা এটিকে নিজেদের হাতের খেলনা হতে দেবে না।’ চীনও একইভাবে সতর্ক ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বেইজিং পেহেলগামের ঘটনাকে ‘উগ্রবাদী হামলা’ বলে অভিহিত করেছে এবং নিরপেক্ষ ভাষায় ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। এই বার্তাটি সীমান্ত সংঘর্ষের কারণে ভারতের সাথে অতীতে যে টানাপোড়েন ছিল, তা কাটিয়ে সম্পর্ক উন্নয়নের সাম্প্রতিক চেষ্টারই প্রতিফলন।
তবে পর্দার আড়ালে চীন নীরবে পাকিস্তানের স্বাধীন তদন্তের আহ্বানকে সমর্থন করেছে এবং ইসলামাবাদের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার বিষয়টি আবারো জোর দিয়ে বলেছে। এই দ্বৈত কৌশল চীনকে একদিকে আঞ্চলিক দায়িত্বশীল শক্তি হিসেবে উপস্থাপনের সুযোগ দেয়। অন্যদিকে পাকিস্তানের সাথে তার ‘ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব’ আরো মজবুত করে।
উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রতিক্রিয়াও একইরকম ভারসাম্যপূর্ণ। ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং বিপুল ভারতীয় জনগোষ্ঠীর উপস্থিতির কারণে ঐতিহ্যগতভাবে তারা ভারতের বন্ধু হিসেবে বিবেচিত হলেও পেহেলগাম ঘটনার প্রেক্ষিতে তারা নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার এই তিনটি দেশই তাদের বিবৃতিতে উত্তেজনা হ্রাস এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
এই প্রতিক্রিয়াগুলো আসলে ভারতীয় অবস্থানকে সমর্থনের চেয়ে তাদের নিজস্ব কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার দিকেই বেশি মনোযোগী ছিল। দক্ষিণ এশীয় স্থিতিশীলতায় বিনিয়োগকারী সৌদি আরব চায় না ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে কোনো এক পক্ষ বেছে নিতে।
ভারতের ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক অংশীদার সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান থেকে আগত বিশাল শ্রমশক্তির কারণে কূটনৈতিক ভারসাম্যের প্রতি গুরুত্ব দেয়। আর কাতার মধ্যস্থতাভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতির ধারক হিসেবে নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে—যা তাদের বৃহত্তর আন্তর্জাতিক নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার গত ১৯ মে ৪ দিনের সরকারি সফরে চীন সফরে যান। সফরে তিনি চীনা নেতাদের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। ইসহাক দারের এই সফরটি পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে চলমান উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক বিনিময়ের অংশ এবং দুই দেশের ‘অবিচল ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব’-কে আরও জোরদার করার অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুততাকি গত ২০ মে চীনে পৌঁছান। সেখানে তিনি একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন। যে বৈঠকে চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে এবং সীমান্তজুড়ে সামরিক লড়াই শুরু হয়। ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়ে আগ্রাসন চালানো শুরু করে। জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এ সংঘাতে ‘অপারেশন বুনিয়া-নুমণ্ডমারসুস’ নামের প্রতিরোধমূলক এক বৃহৎ সামরিক অভিযান চালায়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের হামলা ছিল ‘সুনির্দিষ্ট ও আনুপাতিক’ এবং তারা ভারতের ৬টি যুদ্ধবিমান (৩টি রাফালসহ) ও বহু ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। সাম্প্রতিক এই সংঘাত চলাকালীন চীন প্রকাশ্যে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানায়। বেইজিংয়ে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানকে ‘আয়রন ব্রাদার’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘চ্যালেঞ্জপূর্ণ সময়ে চীন ও পাকিস্তান সব সময় একে অপরের পাশে থেকেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে চীনে ইসহাক দারের এই সফর শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সমীকরণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তার ওপর আফগানিস্তানকে যুক্ত করে ত্রিপক্ষীয় কাঠামো গঠনের এই উদ্যোগে চীন নিজেদের আঞ্চলিক নেতৃত্বের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করছে। এটাও ভারতের জন্য একটি কূটনৈতিক পরাজয় বটে। অন্যদিকে, চার দিনের চীন সফর শেষে তুরস্ক সফরে যান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরীফ। সেখানে গত ২৫ মে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
এতে দুই শীর্ষনেতা দেশদুটির ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ককে আরও দৃঢ? করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে দুই নেতা উষ্ণ অভ্যর্থনার মাধ্যমে একে অপরকে স্বাগত জানান। আলোচনায় উঠে আসে আঞ্চলিক শান্তি, টেকসই উন্নয়ন, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং পারস্পরিক কল্যাণের রূপরেখা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, তুরস্কের জনগণ আমাদের জন্য শুধু বন্ধুই নন, তারা আমাদের হৃদয়ের আপনজন। কঠিন সময়ে তুরস্কের অটুট সহানুভূতি ও সমর্থন আমাদের সাহস দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে। সব মিলিয়ে পেহেলগামের ঘটনায় ভারতের আগ্রাসন মূলত তাদের একটি কূটনৈতিক ব্যর্থতা বা পরাজয় বলা যায়। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সহনশীলতা, সমরনীতি ও সাহসী পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গণে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে ইসলামাবাদের।