ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হত্যা মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক তিন এমপি শ্যোন অ্যারেস্ট

হত্যা মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক তিন এমপি শ্যোন অ্যারেস্ট

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে নিহত হওয়ার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী ও এমএ লতিফকে গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফা শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, সাবেক এমপি ফজলে করিম, নদভী, লতিফসহ ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত। এর মধ্যে ফজলে করিম চৌধুরী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।

অন্য আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর সলিম উল্ল্যাহ, রেখা আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেত্রী জিনাত সোহানা চৌধুরী, মো. আকবর আলী, রেজাউল হাসান সবুজ ও মো. আবুল বশর প্রমুখ। গত বছরের ৩ আগস্ট সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকার কাঁচাবাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে সড়ক অবরোধ করে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকজন এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে গুলিবিদ্ধ হন শহিদুল ইসলাম। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ১৯ আগস্ট মামলাটি চান্দগাঁও থানায় করেন নিহত ব্যক্তির ভাই। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক।

গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল হাকিম উল্লেখ করেছেন, ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সাবেক সরকারদলীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা আসামিরা মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে মিলে নাশকতা চালিয়েছেন- এমন সাক্ষ্যপ্রমাণ পাচ্ছেন তিনি। আসামিরা ঘটনার আগেও এবং ঘটনাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং অর্থায়নের মাধ্যমে এতে জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে সংসদ সদস্য পদ হারান ফজলে করিম চৌধুরী। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে একটি হেলিকপ্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। পরে আদালতে হাজির করা হলে ফজলে করিমের প্রিজনভ্যানে ডিম ছুড়ে মারেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। এর পর থেকে তাকে আর আদালতে হাজির করা হয় না।

দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ঢাকায় গত ১৫ ডিসেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য নদভী গ্রেপ্তার হন। ওই বছরের ১৭ আগস্ট নগরের বায়েজিদ বোস্তামী মাজার গেট এলাকা থেকে এমএ লতিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত