ঢাকা বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

খোকসায় হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা

খোকসায় হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা

ফেরিওয়ালার কাছ থেকে মুষ্ঠির চাল বিক্রির টাকা দিয়ে এক জোড়া হাঁস কিনে হাঁসপালন শুরু করেছিলেন গৃহবধূ শিরিনা খাতুন। সেই হাঁস থেকে ১০ বছরের মাথায় পূর্ণ বয়স্ক হাঁস ও ডিম বিক্রি করে তার বাৎসরিক আয় এখন প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

কুষ্টিয়ার খোকসার উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খর্দ্দোসাধুয়া গ্রামে প্রান্তিক কৃষক রেজেক আলীর স্ত্রী সফল উদ্যোক্তা শিরিনা খাতুন। নিজের সংসারের কাজ শেষে ঘরে বসেই সময় কাটত তার। ফেরিওয়ালার মাইকে প্রচার শুনে হাঁসের বাচ্চা পালনে শখ জাগে শিরিনা খাতুনের। কয়েক সপ্তাহ ধরে জমানো মুষ্ঠির চাল বিক্রির সাড়ে ৩০০ টাকায় এক জোড়া হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করেন তিনি। কয়েক মাস পরে হাঁসের ডিম বিক্রির টাকা দিয়ে আরও এক জোড়া হাঁস কেনেন। এখন বর্ষা মৌসুমে বিলের পানি থাকা পর্যন্ত তিনি হাঁস পালন করেন। এ ছাড়া ডিম দেওয়ার কয়েক মাস বাড়িতেই আটকে হাঁস পালন করেন। তার দেখা দেখি গ্রামের অনেক নারী মৌসুমি হাঁস পালন শুরু করেছেন। গত সোমবার সকালে বাড়ির পাশের কাঁচা রাস্তায় প্রতিবেশী নারীদের সঙ্গে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে হাঁস কিনছিলেন শিরিনা। তিনি জানান, এবছর হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ শুরু করেছেন। ১০০ হাঁস কিনবেন। বিলে হাঁস যাওয়া নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কখনও বিরোধ হয়নি। সবাই তাদের সহযোগিতা করেন। এখন তো গ্রামের সবাই হাঁস পালন করে। তিনি অভিযোগ করেন, নতুন নতুন রোগে প্রতি বছরই কিছু হাঁস মারা যায়। কিন্তু সরকারিভাবে হাঁসের চিকিৎসার জন্য কাউকে পাওয়া যায় না।

তার দেখাদেখি প্রতিবেশী ওসমান শেখের স্ত্রী ববিতা মৌসুমি হাঁস পালন শুরু করেছেন। তিনিও এখন ৪০-৫০টি হাঁসের মালিক। এ বছর নতুন আর কিছু হাঁসের বাচ্চা তুলবেন। স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসূম বিল এলাকায় হাঁসের পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রাকৃতিক খাবার পাওয়া যায়। আর এ কারণেই প্রতিটি বাড়িতেই মৌসুমি হাঁস পালন করা হয়। গ্রামের মানুষ আষাঢ় মাসের শুরুতেই ফেরিওয়ালার কাছ থেকে হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ শুরু করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত