তামাকের স্বাস্থ্যগত ও আর্থিক ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ এবং সুস্থ তরুণ সমাজ গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি জানিয়েছে সাংবাদিক সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিষ্ট ফোরাম বাংলাদেশ (এটিজেএফবি)। তারা বলেন, আইনের সংশোধনী পাশ হলে মৃত্যু কমবে, এসডিজি গোল অর্জিত হবে, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ত্বরান্বিত হবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিএমএ ভবনের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিসিআইসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাসস-এর বিশেষ প্রতিনিধি ও এটিজেএফবি সভাপতি তানজিম আনোয়ার এবং এটিজেএফবি সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির চিফ রিপোর্টার বাতেন বিপ্লব। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’ আইনে পাবলিক প্লেস ও রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন থাকার কারণে পরোক্ষ ধূমপানজনিত ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অধূমপায়ীরা। এতে করে ৮৫ শতাংশ হারে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, স্মোকিং জোনকে ব্যবহার করে ৭৩ শতাংশ রেস্তোরাঁতে তামাক কোম্পানি বিজ্ঞাপন সামগ্রী প্রদর্শন করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধিত খসড়াটি পাস হলে রেস্তোরাঁসহ সব পাবলিক প্লেসে স্মোকিং জোন বাতিল, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী, খুচরা বিক্রি, ই-সিগারেট ও তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বেশ কিছু দুর্বল দিক দূর হবে ও আইনটি বিশ্বমানে উন্নীত হবে। এ সময় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীটি দ্রুত পাসের প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে গণমাধ্যমকর্মীদের লেখনীর মাধ্যমে নীতিনির্ধারকদের বিষয়টি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আহ্বান জানান মো. মোস্তাফিজুর রহমান। ইকবাল মাসুদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনীর জন্য যে খসড়াটি প্রণয়ন করেছে, সেটি পাশ হলে দেশে আইনটি এফসিটিসির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও শক্তিশালী হবে। এ সময় সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে সরকারকে তাগিদ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।