নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিনটি পৃথক হত্যা মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতির বিরুদ্ধে তিন মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালতে সদর মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত মতিকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাফিয়া শারমিনের আদালতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা পৃথক দুইটি হত্যা মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশ তাকে হাজির করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান জানান, সদর ও সিদ্ধিরগঞ্জের তিনটি পৃথক মামলায় মতিউর রহমান মতি ৭ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মতিউর রহমান মতি এবং তার ছেলে বাবুইকে গ্রেপ্তার করেছে ভাটারা থানার পুলিশ। তিনি শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। ৫ আগস্টের পর তিনি নারায়ণগঞ্জ ছাড়েন। পুলিশের সূত্রমতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সময় হতাহতের ঘটনায় মতির বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা ও যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা এবং হত্যার চেষ্টার অভিযোগে প্রায় দুই ডজন মামলা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে একটি দুর্নীতি মামলায় কারাভোগ করেন মতি। তার বিরুদ্ধে ৬ কোটি ১ লাখ ৭২ হাজার ২৬৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৫ হাজার ৬৩৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৮২ কোটি ৫১ লাখ ৪২৪ টাকা জমা করে সেখান থেকে ৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৯ টাকা উত্তোলন করে স্থানান্তর এবং হস্তান্তরের অবস্থান গোপন করারও অভিযোগ আনা হয়।