ঢাকা ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চসিকের অমর একুশে বইমেলা শুরু

চসিকের অমর একুশে বইমেলা শুরু

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠে অমর একুশে বইমেলা শুরু হয়েছে। শনিবার উদ্বোধন হওয়া ২৬ দিনব্যাপী এ বইমেলা শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মেলার উদ্বোধন করেন গৃহায়ন, গণপূর্ত ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটিয়ে জুলাইয়ের ৩৬ দিনে যেই ছাত্র-জনতার রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ বদলে দিয়েছে সেই বদলে যাওয়া ন্যারেটিভের উপর দাঁড়িয়ে আজকের এই বইমেলা। বাংলাদেশে তো বইমেলা ৫২ সাল থেকেই হচ্ছে। ২১ উদযাপন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি খুবই ছোট আঙিকে প্রচারণার জন্য স্মারক স্মরণিকা বের করে নিজেদের পাড়ায় পাড়ায় কিছু অনুষ্ঠান ছিল। ব্যাপকভাবে হয়তো বাংলা একাডেমি অনেক পরে করেছে। চিটাগং এও অনেকদিন আগে থেকে শুরু হলেও সেই সময় ছোট ছোট অঙ্গনে কিন্তু কাজ ছিল। কিন্তু আজকের যেই বাস্তবতা সেটা হচ্ছে এই সমস্ত উদ্যোগকে ছাপিয়ে বাংলাদেশকে বদলে দেয়ার উপরে দাঁড়িয়ে মানুষের অধিকার আদায়ের যে সংগ্রাম, অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম, একটা ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে যে সফল সংগ্রাম সেটার উপরে দাঁড়িয়ে আজকের বইমেলা। আপনারা আপনাদের কথাগুলো লিখবেন। যেটা আমরা আশা করি এই সংগ্রামে অংশ নেয়া সমস্ত ছাত্রী এবং ছাত্র তাদের কথাগুলো লিখবেন। আমরা আশা করি শহীদদের কথা লেখা হবে। আজকে শহীদ ওমরের কবর জিয়ারত করতে গেয়েছিলাম। আমাদের প্রতিনিয়ত যেন এ কথা মনে থাকে যে, রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে কিন্তু আমরা আজকের বাংলাদেশে আছি।

আমাদের যেন প্রতিনিয়ত মনে থাকে যে, যেই ঐক্য রচিত হয়েছিল পাঁচই আগস্ট সে ঐক্য যেন কোন অবস্থাতেই কোন শক্তি ভেঙে দেয়ার চেষ্টা না করতে পারে। আমাদের যেন এই কথা মনে থাকে যে, যে কোন দুর্বলতার সুযোগে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার চেষ্টা করতে পারে। গণমানুষের ঐক্য বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ যেটা আশা করে সেটা হচ্ছে, মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো। ২১ মানে মাথানত না করা, একটা কথা বলি না আমরা। আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি এবার যেন সেটা মনে রেখেই করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতা শ্রমিকের যে বিপ্লব ২০০৭ থেকে ২৪ পর্যন্ত মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার সংগ্রাম সবকিছুই জ্ঞান-ভান্ডার সমৃদ্ধ থাকার কারণেই কিন্তু আমরা রাজপথে আন্দোলন করতে পেরেছি। দেখুন প্রতিটি জায়গায় কিন্তু ছাত্রদের ভূমিকা আছে। সেটা ৫২ বলুন, ৭১ বলুন, ৯০ বলুন, ২৪ বলুন। ছাত্ররাই কিন্তু আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে। এর সাথে শ্রমিক জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কাজে আজকে আমরা মনে করি পড়ার কোন বিকল্প নেই। তাইতো আমাদের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনের প্রথম আয়াতটা কিন্তু ‘পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন’।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত