মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, লাম্পি স্কিন ডিজিসের (এলএসডি) বিষয়ে খামারিদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রতিষেধক (টিকা) উৎপাদনে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘জুনোসিস এবং আন্তঃসীমান্তীয় প্রাণিরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ গবেষণা’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উদ্ভাবিত লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভ্যাকসিন সিড হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ আন্তঃসীমান্তীয় প্রাণিরোগ, আর এ রোগে মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। টিকা উৎপাদন করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, গবাদি পশুর এই রোগের কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা দ্রুত নিরুপণ করতে হবে। তিনি গবেষণা ও পরীক্ষাগারগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নতুন নতুন রোগ জীবাণুর আক্রমণ হচ্ছে। এ জন্য সরকার বিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত। উপদেষ্টা বলেন, আক্রান্ত গরুর মাংস খেলে মানুষের কোন ক্ষতি হবে কিনা তা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের এলএসডি রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যেতে হবে।
বক্তারা বলেন, প্রতি বছর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রাণিসম্পদ খাতের মারাত্মক আর্থিক ও বাণিজ্যিক ক্ষতি সাধন করছে। এছাড়া বিদেশী ভ্যাকসিন আমদানি করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং বাজারেও তা অপ্রতুল। এক্ষেত্রে বিএলআরআই উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি স্বল্পমূল্যে সহজলভ্য করা সম্ভব।
বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বিএলআরআই, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।