ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন দিগন্তের সূচনা

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন দিগন্তের সূচনা

চট্টগ্রাম বন্দর যেন আধুনিকতার নতুন যুগে প্রবেশ করলো। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বন্দরে সংযুক্ত হয়েছে অনলাইন গেট পাস। মূলত, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে আমদানি রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের জন্য অনলাইন গেট পাস চালু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরই মাধ্যমে যেন বন্দরে উন্মোচিত হয়েছে নতুন এক দিগন্তের সূচনা। এর ফলে প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি পণ্যবাহী গাড়ি কয়েক মিনিটের মধ্যে বন্দরের গেইট পেরোতে পারবে। ফলে এসব গাড়ির যানজট, দুর্ঘটনা ও সময় যেমন কমবে তেমনি বন্দরের ভেতরে বাইরে পণ্যবাহী গাড়ির শৃঙ্খলা ও নজরদারিও নিশ্চিত হবে। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান অনলাইন গেট পাস সিস্টেমটি শতভাগ চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, পণ্য আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত সব ভেহিক্যাল, ড্রাইভার, হেল্পারদের ডাটাবেইজ চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে। অনলাইন গেট পাসের মাধ্যমে বন্দর স্টেক হোল্ডারদের ভেহিক্যাল ট্রেকিং, মনিটরিং ব্যবস্থা আরো সহজ হবে, যানজট কমবে। বন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা আরো জোরদার হবে এবং অপারেশনাল কাজে গতিশীলতা বাড়বে। এতে কম সময়ে বেশি পণ্য হ্যান্ডলিং করা যাবে, সামগ্রিক ব্যয় কমবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, টিওএস পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি টার্মিনাল বা পোর্টে ব্যবহৃত একটি সিস্টেম।

এই সিস্টেমটি ঘধারং, খখপ, টঝঅ কর্তৃক ডেভেলপ করা এবং এই সিস্টেমের টেকনিক্যাল সাপোর্ট পার্টনার হিসেবে ডাটাসফট সিস্টেম বাংলাদেশ লিমিটেড কাজ করছে। ডাটা সিকিউরিটি এবং অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি চিন্তা করে টিওএসসহ বন্দরের সব সিস্টেম ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার থেকে পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, পণ্য লোড বা ডেলিভারির ক্ষেত্রে বন্দর ও বন্দর এলাকায় যানজট হ্রাস, ভেহিক্যাল ট্রেকিং, মনিটরিং ব্যবস্থা সহজীকরণের অংশ হিসেবে স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে গত ১ জানুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলক অনলাইন গেট পাস চালু করা হয়। বন্দরের টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেম (টিওএস) ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করে ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন এই অনলাইন গেট পাস পাওয়া যাওয়া। আগে বন্দরের বিভিন্ন গেইটে সরাসরি উপস্থিত হয়ে পাস সংগ্রহ করতে হতো। এতে গেটে দীর্ঘলাইন হতো এবং যানজট সৃষ্টি হয়ে রাস্তা ব্লক হয়ে যেতো। এ পদ্ধতির পরীক্ষামূলক চালুর পর থেকে কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি হয়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত