ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের মানুষ স্বৈরাচার পতনের পর থেকে ইসলামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ইসলাম বিজয়ী হোক এটা এখন এ দেশের গণমানুষের জাতীয় দাবিতে পরিণত হচ্ছে। এদিকে ইসলামের গণজোয়ার ঠেকাতে একদল স্বার্থান্বেষী মহল ইসলাম সম্পর্কে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছি যে রাষ্ট্রে ইসলাম বিজয়ী হলে সর্বস্তরের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঐতিহাসিক চরমোনাইর তিন দিনের মাহফিলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর আরো বলেন, বস্তুবাদী রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রদানে আদর্শিক জনশক্তি উৎপাদনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। আমাদের স্লোগান হচ্ছে সাহাবাদের অনুসরণ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। তাই সাহাবাদের চরিত্রে মানব জীবন গঠন করার লক্ষ্য উদ্দেশ্য থেকে কখনই দূরে যাওয়া যাবে না। বরং যেভাবে স্বৈরাচার পতনে কাজ করেছে সেভাবেই দেশ গড়ার জন্য ছাত্র সমাজকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সভাপতিত্বে গণজমায়েতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার সাকি, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরি, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রমুখ।
গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ মাহফিল শনিবার সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।
মাহফিলে আসা মুসল্লিদের ১০০ শয্যার অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে ১০টি সড়কপথের ও ২টি নৌপথের অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে। এছাড়াও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবকসহ বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির সদস্যরা।