বেসরকারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালে তৎকালীন সরকার সারাদেশে সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। তবে ২০১৩ সালের গেজেট মূলে ২০১২ সালের মে মাসে সারাদেশে ৩০ হাজার ৩৫২টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেই সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় বাদ রেখে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। তৃতীয় ধাপের বিদ্যালয়সমূহ জাতীয়করণের ক্ষেত্রে ২০১২ সালের মে মাসের পূর্বে স্থাপিত ও পাঠদানের অনুমতির জন্য আবেদনকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হবে।
তারা আরও বলেন, সমপরিমাণ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন কিছু কর্মকর্তা কর্মস্থলে না থাকায়, সব শর্ত পূরণ করার পরেও ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এই বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে থেকে ২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাসহ এক হাজার ৩০০ বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য উপজেলা ও জেলা যাচাই-বাচাই করা হয়েছে, যা মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষণ করা আছে। জাতীয়করণের সময়ে পাঠদানের অনুমতি ও রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম স্থগিত রাখায় আমরা বেতন-ভাতা থেকে সুবিধা ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপবৃত্তি টিফিন থেকে বঞ্চিত হয়। কর্মসূচিতে সংগঠনের সভাপতি বলেন মামুনুর রশিদ খোকন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাঠদান পরিচালনা করলেও বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ না হওয়ায় শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা অন্যের শিশুকে পাঠদান দিলেও আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। এমতাবস্থায় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মহাসচিব মো ফিরোজ উদ্দিন বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি সব বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া হলেও ফ্যাসিস্ট সরকার বিগত দিনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় সুকৌশলে বাদ দেওয়া হয়েছে।