বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘২৪-এর জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পটভূমি রচনার প্রধান নায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যখন ছাত্র-জনতা বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন, তখন তিনি দলের সব নেতাকর্মীকে নির্দেশ দিয়েছেন তাদের সঙ্গে আন্দোলনে সক্রিয় থাকার জন্য। কখনও তিনি লন্ডন থেকে বক্তব্যের মাধ্যমে আমাদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এই আন্দোলনে আমাদের ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মী, বিএনপির সমর্থক অনেকেই প্রাণ দিয়েছেন গণতন্ত্রকে ফেরানোর জন্য। গতকাল রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমরা বিডিআর হত্যাকাণ্ডের যে ঘটনাগুলো দেখছি, সেখানে শুনতে পাচ্ছি যারা তদন্তে আছেন তারা নানা কারণেই গোপনীয়তা রক্ষা করছেন। যদিও তারা বলেছিলেন, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। হয়তো বিশেষ কারণে নামগুলো এখনও বলছেন না। কিন্তু রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় যে হয়েছে এটা তারা বলছেন। তার মানে পরিকল্পিতভাবে পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। হয়তো কারও স্বার্থে, প্রভুদের স্বার্থে অথবা অন্য কোনও স্বার্থে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল তৎকালীন যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। তিনি বলেন, ‘এমন দেশতো এই দেশের মানুষ চায়নি। যে দেশ যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হতে এত মানুষের প্রাণহানি, এত ক্ষয়ক্ষতি সেই দেশে নিজের দেশের সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে নানা ধরনের প্রলাপ তৈরি করে। তারা যে বয়ান তৈরি করতো, সেগুলোও ছিল পরিকল্পিত। যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, বিপক্ষের শক্তি– এমন নানা ধরনের কথা বলে গোটা দেশটাকে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে, প্রতি সেকেন্ডে তারা বিভাজন করে রেখে গেছে।’