প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (রোড, ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ব্রিজ) ড. শেখ মঈনুদ্দিন বলেছেন, রাজধানীতে যানজটে বছরে ক্ষতি হচ্ছে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। যে টাকা দিয়ে দুটি করে এমআরটি লাইন তৈরি করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে বছরে ৫ মিলিয়ন ঘণ্টা সময় নষ্ট হচ্ছে। এজন্য একটি সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর বনানীতে পিআরআই সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মান্থলি ম্যাক্রোইকোনমি ইনসাইটস (এমএমআই) প্রকাশ এবং বাজেট পরবর্তী পর্যালোচনা উপলক্ষে সেমিনারটি আয়োজন করা হয়। পিআরআইর চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তারের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাইদী সাত্তার নিজে এবং পিআরআই’র মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান। প্যানেল আলোচক ছিলেন বিল্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ফেরদৌস আরা বেগম এবং ঢাকার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান। পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (রোড, ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ব্রিজ) ড. শেখ মঈনুদ্দিন।
শেখ মঈনুদ্দিন আরও বলেন, রোড ট্রান্সপোর্ট একটি দেশের উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা রাখে। দেশে সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। এজন্য বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকা দরকার। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার। যেমন- যেকোনো অবকাঠামোর ক্ষেত্রে প্ল্যানিং, ডিজাইন এবং বাস্তবায়নের মধ্যে কোনো সমন্বয় থাকে না। তিনি বলেন, রেল, নৌ, বিমান এবং সড়কের জন্য পৃথক চারটি মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে কাজ করে। এগুলো সব একটি জায়গা থেকে সমন্বিতভাবে হলে ভালো হতো। এছাড়া আমাদের দেশে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনেক সময় চলে যায়। সেই সঙ্গে প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) অনুমোদন হতেই ৪-৫ বছর চলে যায়। পরে এক্সচেঞ্জ রেটের পরিবর্তনসহ সব কিছুরই দামে পরিবর্তন ঘটে। তাই ট্রাসপোর্টেশন খাতে অবকাঠামো মাস্টারপ্ল্যান করা প্রয়োজন।