ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নিখোঁজের ২১ দিন পর পিবিআই হেফাজতে কিশোরী রিতু

নিখোঁজের ২১ দিন পর পিবিআই হেফাজতে কিশোরী রিতু

রংপুরে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন বালিকা কেন্দ্রে মেয়ে শিশুদের উপর শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের বিষয়ে আদালতে লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন নিবাসী রিতু। এ ঘটনায় স্ব-প্রণোদিত হয়ে আদালতের মামলা করা হয়েছে। পিবিআইকে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত রংপুর সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে (বালিকা) মেয়ে শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি আমলে নিয়েছে আদালত। গত ২৯ জুন রংপুর মেট্রো কোতয়ালী সিআর আমলী আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ হোসাইন স্ব-প্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের (মিস কেস নং-২/২৫) করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ জুন গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ পাঠ ও পর্যালোচনাকরে দেখা যায়, রংপুর সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন (বালিকা) কেন্দ্রে মেয়েদে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের কারণে জীবন বাঁচাতে ৪ কিশোরী পালিয়ে যায়। পুনর্বাসন কেন্দ্রের দায়িত্বরতরা ভিকটিম কিশোরীর চুল কেটে দেয় এবং কেন্দ্রের অনিয়মের কথা গোপন রাখতে তাকে চাপ প্রয়োগ করে। ভিকটিম কিশোরীর মা তাকে দেখতে গেলে পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা দূর্ব্যবহার করেন। এছাড়া গত ১২ জুন ৪ কিশোরী নিখোঁজ হলেও এখনও ২ জন কিশোরীর সন্ধান মেলেনি। এমন অবস্থায় জনস্বার্থে ও ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে রংপুর সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে ৪ কিশোরী পালানোর কারণসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে বিস্তারিত তদন্ত হওয়া আবশ্যক মর্মে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনা বিষয়ে তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। আগামী ২৯ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে নিখোঁজের ২১ দিন পর গত ৩ জুলাই বিকালে রংপুর সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের (বালিকা) নিবাসী রিতু আদালত চত্বরে আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীদের স্মরণাপন্ন হয়েছেন। নির্যাতনের ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণ উল্লেখকরে পুনরায় নির্যাতনের কবলে না পড়তে আদালতের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে তাকে রাখার আবেদন করেছেন। আইনজীবি ও মানবাধিকার কর্মীরা গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআইয়ের কাছে তাকে হস্তান্তর করেন। পিবিআই রিতুকে জিজ্ঞাসাবাদসহ নিরাপদ স্থানে রাখার কথা জানিয়েছে। এর আগে গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট রিতু আক্তার বলেন, সমাজসেবা কার্যালয় ও রংপুর সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র (বালিকা) কর্মকর্তাদের যোগসাজসে প্রতি সপ্তাহে বাহির থেকে বিভিন্ন পুরুষ এই কেন্দ্রে আসে। প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন মেয়েদের ধর্ষণ করতো বহিরাগতরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত