রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহযোগিতা চেয়েছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই সহযোগিতা চেয়েছেন জামায়াতের নেতারা।
তারা দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের পক্ষে লিখিত চিঠি ডিএমপিতে পৌঁছে দিয়েছেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘বিগত ১৭ বছরের প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, শহিদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিরকরণ, এই ৭ দফা দাবি জাতীয় দাবি। এসব দাবি আদায় হলে যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য জামায়াতে ইসলাম প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্ববৃহৎ এই সমাবেশে যেহেতু সারাদেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ সোহরাওয়ার্দীতে আসবে, তাই নগরবাসীর স্বাভাবিক চলাচলে সহযোগিতার জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরালো করতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দলের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে লিখিত চিঠি দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন, তারা প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’ বিএনপিসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সব শক্তিকে এই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলেও জানান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণে সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন।
এর আগে গত ২৫ জুন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির এক বৈঠকের ১৯ জুলাইয়ের সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সভায় জানানো হয়, আগামী ১৯ জুলাই দুপুর ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ৭টি দাবি তোলা হবে। জাতীয় এই সমাবেশ সফল করতে সভায় বিভিন্ন বিভাগের অগ্রগতি ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা হয়। একইসঙ্গে সমাবেশকে শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর করতে দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।