ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আন্দোলনে ভোগান্তি নিত্যসঙ্গী

উবাইদুল্লাহ তারানগরী
আন্দোলনে ভোগান্তি নিত্যসঙ্গী

সম্প্রতি ঢাকা যেন আন্দোলনের নগরীতে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কোনো না কোনো দাবিতে অবস্থান, মিছিল কিংবা অবরোধ করতে দেখা যায়। শাহবাগ, জাতীয় প্রেসক্লাব, কাকরাইল কিংবা পল্টনের মতো জনবহুল এলাকায় এসব কর্মসূচির কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট ও দুর্ভোগ। অথচ এসব আন্দোলনের অধিকাংশই ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থকেন্দ্রিক; যা জাতীয় স্বার্থ বা ইসলামের সামষ্টিক কল্যাণের প্রতিনিধিত্ব করে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের পর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না।’ (সুরা আরাফ : ৫৬)। অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তোমরা পৃথিবীতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না।’ (সুরা বাকারা : ৬০)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।’ (বোখারি : ১০)। এ ধরনের বিক্ষোভণ্ডঅবরোধের ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন পড়ছে চরম ভোগান্তিতে। অসুস্থ রোগী অ্যাম্বুলেন্সে আটকে থাকে। পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। চাকরিজীবী ও দিনমজুররা কষ্টে পড়ে। ইসলামে নিজের অধিকারের জন্য অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ণ করার সুযোগ নেই। ইসলাম প্রতিবাদের অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে তা হতে হবে শান্তিপূর্ণ, মানবিক ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন পদ্ধতিতে। রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনও মক্কার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেননি; বরং উত্তম উপদেশের মাধ্যমে দাওয়াত দিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনার প্রতিপালকের পথে আহ্বান করুন প্রজ্ঞা ও উত্তম উপদেশের মাধ্যমে।’ (সুরা নাহল : ১২৫)।

বর্তমানে যেসব বিকল্প ও ইসলামসম্মত পন্থা রয়েছে, তা হলো- শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর অভিযান, সংবাদ সম্মেলন, অনলাইন প্রচারণা, আলেম সমাজের মাধ্যমে উপদেশ প্রদান বা আদালতের আশ্রয় গ্রহণ। এসব পথ যেমন গ্রহণযোগ্য, তেমন জনজীবনেও বিঘ্ন ঘটে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত