দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের নামে প্রচুর অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি এ অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের বিষয়টি সাধ্যের বাইরে গাড়ি কেনার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘কেউ যদি একটা গাড়ি কেনেন, তার মনে প্রথম প্রশ্ন হয় যে তার মাইলেজ কী হবে? রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আমরা যে গাড়ি কিনেছি, তাতে সে প্রশ্ন কখনও আসেনি। ওই গাড়ির তেল আধারাস্তায় গিয়ে শেষ হয়ে যায়।’ বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কর্ণফুলী টানেল বানাবো, পদ্মা সেতু, রেল সেতু, এমআরটি প্রকল্প বানাবো, কাকে দেখানোর জন্য এগুলো? এই তেল দিয়ে কত কিলোমিটার যেতে পারবো-সেটা ভাবা হয়নি। বরং এমন গাড়ি কিনলাম যে এরপর তেল কেনার জন্য ভিক্ষা করতে গেলাম রাস্তায়। আইএমএফের কাছে গেলাম, এর কাছে গেলাম, ওর কাছে গেলাম- এটা কি উন্নয়ন?’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা আগে বৃদ্ধি করতে হবে। এরপর টেকসই উন্নয়ন। আগে এক টাকার কাজ ২০ টাকায় হয়েছে, তাও সম্পূর্ণ আপ্রয়োজনীয় প্রকল্পেও। আমাদের যে ভুলগুলো হয়েছে, সেটা ঠিক করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’ গত বুধবার অর্থ ও বাণিজ্যবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ‘অটোমোবাইল পলিসি ফর গ্রিন গ্রোথ অ্যান্ড কম্পিটিটিভ ইকোনমি’ শীর্ষক সেমিনারে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ইআরএফ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ওই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালার সভাপতিত্বে ও ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান, বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আবদুল হক এবং উত্তরা মোটরসের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ।