নেপালের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ কাবাডি টেস্ট সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার পল্টনের আউটার স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে সফরকারীদের তিনটি লোনাসহ ৪৫-২৭ পয়েন্টে হারিয়ে লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে উৎসব করেছেন মিজানুর রহমানরা। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। কাবাডি বিশ্বে পারতপক্ষে দুর্বল নেপালের পুরুষ দল। সবশেষ ২০১৯ নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে প্রথমবারের মতো ব্রোঞ্জ পায় ঘনশ্যাম রোকা মাগারের দল। আর ২০২৩ হাংঝু এশিয়াডে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবার পদকের (ব্রোঞ্জ) মুখ দেখে হিমালয়কন্যার মেয়েরা। এক সময় এশিয়াডে নিয়মিত (সাতটি রুপা ও ব্রোঞ্জ) পদক জেতা বাংলাদেশের সাফল্যের নিড়িখে যা খুবই অপ্রতুল।
সেই নেপালকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সিরিজ জিতে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে চাইছেন কর্মকর্তারা। তবে এশিয়াডে প্রথমবার পদকের মুখ দেখতে মরিয়া ঘনশ্যাম। তার কথা, ‘সিরিজে আমরা একটি ম্যাচ জিতে নিয়েছি দেখেছেন। জানান দিলাম, আমরাও এশিয়াডে পদক জেতার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’ আরও একধাপ এগিয়ে ভারতের প্রো-কাবাডিতে নিয়মিত খেলা নেপালের অধিনায়ক বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আগামী এশিয়াডেই পদক জেতার সক্ষমতা দেখাতে পারব।’ ১৯৭৪ সালে নিজেদের মাটিতে প্রথমবার কাবাডি টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সেবার প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী ভারত।
২০০৪ সালেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। এরকম সেরা দলের সঙ্গে খেললেই বাংলাদেশের লাভ। নেপালের বিপক্ষে খেলে বাংলাদেশের প্রাপ্তি তেমন কিছুই নেই বলে জানান জাতীয় দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড় আবু সালেহ মুসা। ২০০৬ কলম্বো এসএ গেমস ও কাতার এশিয়াডে ব্রোঞ্জ জেতা দলের এই সদস্যের কথা, ‘আমাদের সময়ে পাত্তাই পেত না নেপাল। অথচ গত ১১ বছরে কতটা এগিয়েছে তারা। এখন কাবাডি লিগের আয়োজন করে। মেয়েরা এসএ গেমসের পর জিতেছে এশিয়াডের পদক। ছেলেরাও এগিয়েছে। এই দলটির বিপক্ষে আমাদের কোন লাভ নেই। বরং ওদের লাভ হয়েছে। অনেক কিছু শিখেছে তারা। আমাদের লাভ হবে ভারত, পাকিস্তান কিংবা ইরানের সঙ্গে খেললে। হারলেও অনেক কিছু শিখতে পারব।’