ঢাকা শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রিশাদের পাকিস্তান জয়

রিশাদের পাকিস্তান জয়

রিশাদ হোসেনের মাথায় ফজল মাহমুদ ক্যাপ। আঙুল দিয়ে দেখিয়েও দিচ্ছেন সেই টুপি, যেন বুঝিয়ে দিচ্ছেন পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির টুপি এটি। এই ছবি তার দল লাহোর কালান্দার্স পোস্ট করেছে নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে। ক্যাপশনে লেখা, ‘স্পিনিং ম্যাজিক! পিএসএলের ১০ম আসরে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ায় ফজল মাহমুদের ক্যাপ রিশাদ হোসেনের।’ বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এই ছবি পরম প্রশান্তির। বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে অন্য দেশের খেলোয়াড়দের ভালো করার ছবিই তো এ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রায় বেশির ভাগ সময়ই দেখতে হয়। রিশাদ সেখানে অন্য স্বাদ এনে দিলেন, যেটাকে আপনি বলতে পারেন দেশের ছেলের বৈদেশিক বীরত্ব। অবশ্য পিএসএল তো কেবল শুরু হলো। সামনে নিশ্চয়ই রিশাদের এমন ছবি দেখা যাবে আরও! যদিও শাহরিয়ার নাফীসের দেরি সহ্য হয়নি। বাংলাদেশ দলের সাবেক এ ক্রিকেটার এবং বর্তমানে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা ইনচার্জ কাল রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে রিশাদের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘রিশাদের পাকিস্তান জয়...।’ তিন ম্যাচ খেলে দুটিতে জিতেছে লাহোর। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে লাহোরের হেরে যাওয়া প্রথম ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি রিশাদ। কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ঘটে তার পিএসএল অভিষেক। দলের ৭৯ রানের জয়ে ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অভিষেক মাতান বাংলাদেশের এই লেগ স্পিন অলরাউন্ডার। এরপর করাচি কিংসের বিপক্ষেও লাহোরের ৬৫ রানের জয়ে রিশাদের শিকার ৩ উইকেট। এবার রান দিয়েছেন আরও কম-২৬। মজার ব্যাপার হলো, লাহোরের এ দুটি ম্যাচে ম্যাচসেরা যেমন ফখর জামান, তেমনি দলের সেরা বোলারটির নাম রিশাদ।

বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন মজা করে বলতেই পারেন, রিশাদকে প্রথম ম্যাচে দলে নিলে লাহোর হয়তো হারত না! সেই সিদ্ধান্ত লাহোরের টিম ম্যানেজমেন্টের। তবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি যে রিশাদে মজেছে, তা বলাই যায়। গতকাল জয়ের পর রিশাদের দারুণ প্রশংসা করেন লাহোর অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি। এ বছর বিপিএলে ফরচুন বরিশালে রিশাদের সতীর্থ ছিলেন পাকিস্তানি এই পেসার। দুজনের সম্পর্ক অনেকটাই বন্ধুর মতো এবং একে অন্যকে ভালো জানেনও। জয়ের পর রিশাদকে নিয়ে লাহোরের এ অধিনায়ক বলেন, ‘রিশাদ বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলে এসেছে, সে তাদের ভবিষ্যৎ তারকা। মাঝের ওভারগুলোয় সে দারুণ করছে। তাদের মিডল অর্ডারকে দাঁড়াতে দেয়নি।’ লাহোরের ২০১ রান তাড়া করতে নেমে ৭ ওভার শেষে করাচি যখন ৩ উইকেটে ৪৫, তখন রিশাদকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি। প্রথম ওভারেই প্রায় ‘আনপ্লেয়বল’ ছিলেন রিশাদ। রান দেয়ার চেয়ে উইকেট নিয়েছেন বেশি! ১ রানে ২ উইকেট! শান মাসুদ ও ইরফান খানকে ফেরান। তার দ্বিতীয় ওভারেও স্পিন ফাঁস-যেখানে আটকেছেন আব্বাস আফ্রিদি। এ ওভারে ৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন রিশাদ। অর্থাৎ ২ ওভার শেষে রিশাদের বোলিং বিশ্লেষণ ছিল ২-০-৪-৩! রিশাদ তার নিজের বাকি দুটি ওভারে উইকেট পাননি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত