ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

টি-টোয়েন্টি খেলতে দুবাইয়ে লিটনরা

টি-টোয়েন্টি খেলতে দুবাইয়ে লিটনরা

চলতি মাসে বাংলাদেশ দলের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে সিরিজটি মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে আসন্ন এই সিরিজের আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে লিটন দাসের দল। গতকাল বুধবার দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আরব আমিরাতের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথম দফায় সকাল ১০টার বিমান ধরেছেন ক্রিকেটাররা। এরপর দলের বাকি সদস্যরা সন্ধ্যা ৭টায় দেশ ছেড়েছেন। প্রথম বহরে গেছেন ১০ ক্রিকেটার। আর দ্বিতীয় দফায় গেছেন অধিনায়ক লিটন দাসসহ ৬ ক্রিকেটার। আরব আমিরাত সফরে গেলেও আইপিএলে ডাক পাওয়া মুস্তাফিজের সব ম্যাচ খেলবেন কি না তা এখন নিশ্চিত নয়। তবে বিসিবির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মুস্তাফিজ এখনও পর্যন্ত আইপিএলে খেলার জন্য ছাড়পত্র (এনওসি) চেয়ে আবেদন করেননি বোর্ডে। সূচি অনুযায়ী ম্যাচ রয়েছে আগামী ১৭ ও ১৯ মে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। স্থানীয় সময় রাত ৯টায় হবে ম্যাচ দুটি। এদিকে আইপিএলে মুস্তাফিজের দিল্লির ম্যাচ আছে আগামী ১৮ মে। এদিকে পাকিস্তানের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বিষয়ে এখনও সরকারের সবুজ সংকেত পায়নি বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অন্যতম পরিচালক এবং জাতীয় দল পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব থাকা স্ট্যান্ডিং কমিটি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানিয়েছেন, ‘পাকিস্তান সফর হবে কি হবে না, টিম বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাবে কি যাবে না, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। আর বিসিবি তা বলতেও পারছে না। বিসিবির একার এখতিয়ার নেই।’ ‘যেহেতু পাক-ভারত যুদ্ধের কারণেই পাকিস্তানে গিয়ে খেলা এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। তাতেও ঝুঁকি থাকবে। তাই নিরাপত্তা ইস্যু যেখানে, সেখানে দু’দেশের বোর্ডের চেয়ে দু’দেশের সরকারের সবুজ সঙ্কেত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়ে পুরো বিষয়টি অবহিত করেছি। এখন সরকারের মনোভাব ও সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান যাওয়া বা না যাওয়া। বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দিলেই শুধু জাতীয় দল পাকিস্তানে খেলতে যেতে পারবে। না দিলে যাবে না। আমরা (বিসিবি) সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে বন্ধ হয়ে আছে পিএসএল। তবে যুদ্ধ বিরতির পর আগামী ১৭ মে থেকে আবার মাঠে গড়ানোর কথা পাকিস্তান সুপার লিগের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত