বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মাঠে গড়িয়েছে ১১ বার। এক যুগে নতুন দল এসেছে আবার কোনো দল বাদও পড়েছে। আবার কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি নতুন নামে নতুন মালিকানায় খেলেছে। তবে নোয়াখালী থেকে দল নিতে আগ্রহ দেখায়নি কেউ। এবার সেই আক্ষেপ মিটতে যাচ্ছে। ‘নোয়াখালী রয়্যালস’ নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সায়ান গ্লোবালস নামে একটা প্রতিষ্ঠান। নিজেদের এই আগ্রহের কথা এরই মধ্যে বিসিবিকে জানিয়েছে তারা। সায়ান গ্লোবালসের ওয়েবসাইটে যোগাযোগের জন্য দেওয়া আছে লন্ডনের একটি ঠিকানা। গতকাল রোববার মিরপুরে নোয়াখালীর পক্ষ থেকে এসেছিলেন লন্ডন প্রবাসী ব্যবসায়ী আহমেদ জামিল। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে পুরোপুরি প্রস্তুত আমরা। বিসিবিতে দেওয়ার জন্য যে ডকুমেন্টেশনগুলো লাগে এগুলো আমাদের জানা আছে, তৈরি করে রেখে দিয়েছি। আশা করি, আমাদের প্রস্তাবটা তারা ইতিবাচকভাবে দেখবেন।’ এরই মধ্যে বিসিবিতে দল নেওয়ার জন্য আবেদনও করেছে সায়ান গ্লোবালস। সেই আবেদনে লেখা আছে, ‘ক্রিকেটের উন্নয়নে আমাদের পেশাদার কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা আরও বিশ্বাস করি, ‘নোয়াখালী রয়্যালস’ দল হিসেবে ‘বিপিএল টি-টোয়েন্টি ২০২৫’-এ অংশগ্রহণ করলে এই টুর্নামেন্টে উল্লেখযোগ্য ব্র্যান্ড ভ্যালু যোগ হবে।’ এ নিয়ে বিসিবি থেকে জানানো হয়েছে, এক্সপ্রেস অব ইন্টারেস্ট বা দল নির্বাচনের বিডিং আহ্বান করার পর সবকিছু স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে করার কথা। বিপিএলের নতুন মৌসুমে নিশ্চিত ভাবেই রাজশাহীর গত ফ্র্যাঞ্চাইজি ভ্যালেন্টাইন গ্রুপ থাকছে না, একই সঙ্গে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানায় থাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং চট্টগ্রাম কিংসের মালিকানা ফ্র্যাঞ্চাইজিকেও দেখা যাবে না। এই তিন দলের মালিকানায় আসতে যাচ্ছে নতুন কেউ। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি, তবে চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলা টাইগার্স, যারা আবুধাবি টি-১০ লিগ ও শ্রীলঙ্কার টি-১০ লিগের দলের মালিকানায় ছিল। দলটির মালিক চট্টগ্রামের। গত বছরের ৫ আগস্ট পরবর্তী অবস্থায় বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আসে। আগের টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ সংখ্যক শিরোপাজয়ী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স গতবারের আসর থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং ঢাকা ডমিনেটর্সও এই আসরে ছিল না।
ওই ৩ দলের পরিবর্তে চিটাগং কিংস, ঢাকা ক্যাপিটালস এবং দুর্বার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে যোগ দেয়। তবে দুর্বার রাজশাহী এবং চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধে আসর শেষে পারিশ্রমিক নিয়ে অভিযোগ ওঠে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল রাজশাহীর বিরুদ্ধে। টুর্নামেন্টের ১০টি খেলা শেষের পরেও প্রতিশ্রুত পারিশ্রমিক না দেওয়ায় দলটির বিদেশি খেলোয়াড়রা মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। ফলে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো বিদেশি ছাড়াই মাঠে নামতে হয়েছিল রাজশাহীকে। পারিশ্রমিক সংক্রান্ত সমস্যা টুর্নামেন্টের পরেও শেষ হয়নি। ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিককে আইনের আওতায় আনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এদিকে, চিটাগং কিংসের খেলোয়াড়রাও ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে অভিযোগ তুলেছে। তবে সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে দলটির মালিকপক্ষ।