
দুই বছর আগে হাংজু এশিয়ান গেমসে দুর্দান্ত খেলেছিলেন বক্সার সেলিম হোসেন। অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছিল তার। এ নিয়ে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম আফসোসে পুড়েছিলেন। পদক হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ হয়েছিলেন বিওএর কর্তারাও। সেই সেলিম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অবশ্য হতাশ করেননি। দু’বছর পর হওয়া জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে গতকাল বুধবার স্বর্ণপদক জিতেছেন তিনি। মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনীর হয়ে ৬৭ কেজি ওজন শ্রেণিতে সেলিম খুলনা জেলার ইমন মেহেদী হাসানকে পরাস্ত করেছেন। দ্বিতীয় রাউন্ডের শুরুর দিকে সেলিমের কাছে ধরাশায়ী হন ইমন। টানা তিনটি জাতীয় আসরে সেরা হয়ে ৩৩ বছর বয়সি সেলিম সোনা জিতে উচ্ছসিত। তার কথা, ‘এর জন্য অনেক কষ্ট করেছি। কঠোর পরিশ্রম, ঘাম, কষ্ট আর বিশ্বাস-সব কিছুর ফসল আজকের এই স্বর্ণপদক। এই অর্জন শুধু আমার না, এটা আমার কোচ, পরিবার, সতীর্থ আর সব সমর্থকদের।’ এখন এসএ গেমসের জন্য প্রস্তুতি নেবেন সেলিম।
এদিকে ৮০ কেজিতে বরগুনার তাহেদুল ইসলামকে হারিয়ে স্বর্ণ জেতার পরই গাঁদা ফুলের মালা জুয়েল আহমেদের গলায় জড়িয়ে দিলেন কেউ একজন। হাতে ফুলের তোড়াও তুলে দিলেন। দেখলেই মনে হবে বক্সিংকে গুডবাই জানিয়ে দিয়েছেন ২০১০ ঢাকা এসএ গেমসে ৬০ কেজি লাইটওয়েট ক্যাটাগরিতে সোনাজয়ী বক্সার জুয়েল আহমেদ জনি। তার ভাগ্নে আরেক তারকা বক্সার উৎসব আহমেদও মামার অবসরের গুঞ্জন উসকে দিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু জুয়েলের অবসর দৃশ্যের বিষয়ে শেষ পর্যন্ত জানা গেল ভিন্ন কিছু। জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘আমার এলাকার এক বড় ভাই আমাকে এমন অবসর ভাবনায় ফেলে দিলেন। যদিও আমার এখনো অবসর নেওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই।
তাছাড়া আমার সংস্থা বাংলাদেশ আনসারও আমাকে এ বিষয়ে কিছু বলেনি।’ ২০১০ এসএ গেমসের পর পেরিয়ে গেছে আরও ১৫ বছর। এখনও খেলছেন এবং স্বর্ণপদক জিতেই চলেছেন জুয়েল। এর রহস্য কি? শুনুন জুয়েলের মুখ থেকেই, ‘আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি, নাকি মুটিয়ে গেছি? আমার বয়স আর কত হয়েছে। সবেমাত্র ৩৫। আরও পাঁচ বছর খেলতে পারি নির্দি¦ধায়।’ ছেলে ও মেয়েদের ফাইনালে ২৪টি ইভেন্টের মধ্যে ১১টি অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল। বাকি ১৩টি হবে আজ।