
এশিয়া কাপ ও নেদারল্যান্ডস সিরিজ সামনে রেখে ২৫ সদস্যের প্রাথমিক দল নিয়ে চলছে ফিটনেস ক্যাম্প। গতকাল রোববার সকালে গুলিস্তানের জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৬০০ মিটারের রানিং সেশন। এদিন দিনের আলো ফোটার আগেই হাজির হলেন জাতীয় দলের পুলে থাকা ক্রিকেটাররা। সেখানকার অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে হলো তাদের ফিটনেস যাচাই। যেই পরীক্ষায় সবার চেয়ে ভালো করেছেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। গত দুই বছর ধরে ফিটনেস পরীক্ষায় অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক ব্যবহারের রীতি চালু করেছে বিসিবি। ব্যস্ত আন্তর্জাতিক মৌসুম শুরুর আগে ক্রিকেটারদের শারীরিক প্রস্তুতি যাচাইয়ের এটাই প্রক্রিয়া। আসন্ন এশিয়া কাপ ও নেদারল্যান্ডস সিরিজ সামনে রেখে প্রাথমিক দল ও টেস্ট পুলের ক্রিকেটারদের নিয়ে এদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত সময় ধরা থাকলেও বেশিরভাগ ক্রিকেটার সাড়ে ৬টার মধ্যে উপস্থিত হন।
এরপর জাতীয় দলের ট্রেনার নাথান কেলির নেতৃত্বে চলে ১৬০০ মিটার দৌড়সহ অন্যান্য কার্যক্রম। এই দৌড়ে সবচেয়ে কম সময় নিয়েছেন নাহিদ। তরুণ এই পেসার ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ড সময়ে দৌড় শেষ করেছেন। আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিব তানজিম হাসান সাকিব দ্বিতীয় সেরা টাইমিং ৫ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে শেষ করেছেন ১৬০০ মিটার। দৌড় শেষ করতে মেহেদী হাসান মিরাজের লেগেছে ৬ মিনিট ১ সেকেন্ড। সবার শেষে দৌড় শেষ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার লেগেছে ৭ মিনিট ২৫ সেকেন্ড! টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তারপরও বিসিবির স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলির অধীনে ৩৮ বছর বয়সি মুশফিক ১৬০০ মিটার শেষ করেন ৬ মিনিট ১০ সেকেন্ডে।
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য দৌড়ের সময় নির্ধারণ আছে তিনটি। ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করতে পারলে ধরা হয় ‘এলিট’ হিসেবে। ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ড থেকে ৬ মিনিট ২০ সেকেন্ড সময় লাগলে ধরা হয় ‘কম্পিটেন্ট’ বা ‘সন্তোষজনক’। এর চেয়ে বেশি সময় লাগলে তাকে ধরা হয় ‘লিমিটেড’ হিসেবে। তাতে একমাত্র ‘এলিট’ নাহিদ রানা! এমন দারুণ টাইমিংয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত মজা করে বলছিলেন, ‘নাহিদ রানাকে এবার অলিম্পিকে পাঠাব!’
গতকালের ফিটনেস সেশনে অনুপস্থিত ছিলেন লিটন দাস। লিটনের পাশাপাশি ছিলেন না তাওহীদ হৃদয়ও। লিটন-হৃদয়ের না থাকা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি তারা। অন্যদিকে চিকিৎসার জন্য তাওহীদ লন্ডনে গেছেন।
চলতি মাসের ৬ তারিখ থেকে মিরপুরে শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ফিটনেস ক্যাম্প। ১৫ আগস্ট থেকে স্কিল ট্রেনিং করবেন লিটন দাসরা। এরপর ২০ আগস্ট তারা চলে যাবেন সিলেট। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলবে নিবিড় অনুশীলন। ওই ভেন্যুতেই ৩০ অগাস্ট, ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। সিরিজ শেষ করে বাংলাদেশ দল চলে যাবে আরব আমিরাতে। সেখানে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি আসর। ১১ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে হংকংয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে লিটনরা।