সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে এখন পুরোদমে ইরি বোরো ধান চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এ চাষাবাদে জমিতে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবার সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলায় ১ লাখ ৪২ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ চাষাবাদে বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন ও রোপণ করা হচ্ছে। প্রতি বছরের ন্যায় শস্যভাণ্ডার খ্যাত তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জাতের ইরি বোরো ধানের চারা রোপণের ধুম পড়েছে।
এ অঞ্চলের অনেক স্থানে উন্নতজাতের এ ধানের চাষাবাদ প্রায় শেষের দিকে এবং তবে এ মাসের শেষের দিকে এ চাষাবাদ শেষ হবে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, গত মাসের মাঝামাঝি থেকে ইরি বোরো চাষাবাদে জমি প্রস্তুতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ শুরু হয়েছে এবং শস্যভান্ডার খ্যাত ওই এলাকাসহ অনেক স্থানে পুরোদমে চারা লাগানো চলছে এবং জমি থেকে সরিষা উত্তোলনের পরও ইরি বোরো ধানের চারা লাগানো হচ্ছে। এমনকি চরাঞ্চলেও এ ইরি বোরো চাষাবাদ করা হচ্ছে। বিশেষ করে এবার খাল, বিল, নদী নালার বুকেও এ চাষাবাদ করছে কৃষকেরা। এতে এ চাষাবাদে কিছুটা নামি হলেও ফলন ভালো হয় প্রতিবছর।
জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় বীজতলা কিছুটা বিনষ্ট হয়েছে। এ জন্য স্থানীয় হাট-বাজারে ধানের চারা কিছুটা সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভিন্ন জাতের প্রতি পণ ধানের চারা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে সার ও সেচের দাম এলাকাভিত্তিক কিছুটা বাড়ছে।
এতে এ চাষাবাদে খরচের হারও বাড়ছে। অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ধানের উপর আগাম ঋণ নিয়েও এ চাষাবাদ করছে। সবমিলে খরচ বেশি হলেও এ লাভজনক চাষাবাদে কৃষকেরা ঝুকে পড়ছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহিদ সরকার বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ইরি বোরো চাষাবাদ পুরোদমে শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৯৫ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। এ মাসের শেষের দিকে এ চাষাবাদ শেষ হবে এবং এ চাষাবাদে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।