‘জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তা দিবে কে’ এ স্লোগান নিয়ে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিশু ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে প্লেকার্ড হাতে নওগাঁয় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মোমবাতি জ্বালিয়ে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া নওগাঁ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া মুখে কালো কাপড় বেঁধে এবং হাতে মোমবাতি ও প্রতিবাদী পোস্টার নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান করে। সাম্প্রতিক সময়ে মাগুরায় যৌন নির্যাতনে শিকার হয়ে ৮ বছরের শিশু আছিয়ার মৃত্যু হয়। এছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিশু ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। জীবিত আর কোন আছিয়াকে হারাতে চাইনা। স্কুল, কলেজ ও গন্তব্যে নিরাপদে আসা-যাওয়া করতে চায় নারী ও শিক্ষার্থীরা। কোন ধরনের হয়রানি তারা চান না। ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া জানায়, আমরা আর কোনো আছিয়াকে হারাতে চাই না। জীবিত আছিয়াদের আমরা নিরাপত্তা চাই। স্কুল-কলেজ ও কাজ শেষে আমরা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চাই। ধর্ষণের ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার দাবী জানাই।
প্রতিবাদী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার বাবা জনপ্রিয় যাযাবর ব্যান্ড এর সঙ্গীত শিল্পী খাদেমুল ইসলাম ক্যাপ্টেন বলেন, বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাতেও ভয় লাগে এই জন্য যে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তা কাজ করে। আমার আপনার বাচ্চা নিরাপদ নয়। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় অজস্র শিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের কাছ থেকে কি শিখবে। আমরা আর কোন আছিয়াকে হারাতে চাই না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তা জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাধীন বাংলায় আমরা আর কোনো ধর্ষক দেখতে চাই না। দ্রুত ধর্ষকদের বিচারকার্য শেষ করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হোক এমনটায় আমার চাওয়া।