গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। অথচ কোনো খোঁজ খবর রাখেনি সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকসহ স্থানীয় লোকজন। এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়। এর মধ্যে মধ্যপাড়া ও বোয়ালী ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী কিছু এলাকায় বেশি। প্রথম দিকে হালকা বাতাস শুরু হলেও কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক কাল বৈশাখী ঝড়। দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে এসব এলাকায় কাল বৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে হঠাৎ ব্যাপক শিলাবৃষ্টির দুর্ভোগ নেমে আসে। মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটের এ শিলা বৃষ্টিতে বোরো পাকা ধান, বেগুন, পেঁপে, ডাটা, বরবটি, আম, কাঠালসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফসলাদিসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। হঠাৎ এমন শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। হঠাৎ কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে এভাবে ব্যাপক ক্ষতি হলেও কোনো খোঁজ খবর রাখেনি সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকসহ স্থানীয় লোকজন।
বোয়ালি ইউনিয়নের চাবাগান এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি যেন দুর্ভোগ নেমে আসে। আমার বাগানের শতাধিক কাঠ গাছ ঝড়ে ভেঙ্গে গেছে। এছাড়াও শিলাবৃষ্টির কারণে আমার সবজি বাগানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ঠেঙ্গারবান্দ এলাকার কৃষক সোহেল হোসেন বলেন, দুই বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করেছি। সবে মাত্র সবজি বিক্রি শুরু করেছি। এরই মধ্যে ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে আমার ফসলিগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এই নষ্ট সবজি চারা আর ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আবারও এই জমিতে নতুন করে ফসল লাগাতে হবে। এতে আমার প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অপর কৃষক বাবুল হোসেন বলেন, অনেকের পাকা ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। আবার অনেকের পাকা ধান এখনও কাটা হয়নি। আমারও কিছু ধান কাটা বাকি রয়েছে। এ অবস্থায় হঠাৎ শিলা বৃষ্টির কারণে ধান ঝড়ে কাঁদা ও পানিযুক্ত জমিতে পড়ে গেছে। শুধু তারাই নয়, তাদের মতো অনেক কৃষকের ক্ষতি হয়ে গেল। তবে তাদের অভিযোগ, হঠাৎ কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে এভাবে ব্যাপক ক্ষতি হলেও কোনো খোঁজ খবর রাখেনি সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।