বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় অসহায়-সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার বগুড়া ইয়াং মেনস খ্রীষ্টিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের (ওয়াইএমসিএ) উদ্যোগে আয়োজিত এ চক্ষু শিবিরে শতাধিক রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। ক্যাম্পে বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষা, চিকিৎসাপত্র, চশমা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়। চক্ষু শিবিরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে চক্ষুজনিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসার আওতায় আনা।
তন্মধ্যে ২৫ জন রোগীকে চোখের অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। ৭০ বছর বয়সি আব্দুল জলিল বলেন, অনেক দিন ধরেই চোখে ঝাপসা দেখছি। টাকার অভাবে ডাক্তার দেখানো হয়নি। ফ্রি চিকিৎসা পেয়ে খুব উপকার হয়েছে। আরেক রোগী মনরঞ্জনশীল সাহা জানান, চোখে ভালো দেখতে পারছিলাম না, কিন্তু চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য ছিল না। এখানে এসে চোখের পরীক্ষা করিয়েছি এবং বিনামূল্যে চশমা পেয়েছি। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা প্রদানকারী মেডিকেল টিমের সদস্য প্যারামেডিকস অপথালটিকস মি. দীলিপ মারান্ডী বলেন, আমরা আজ প্রায় শতাধিক রোগীকে সেবা দিয়েছি। তাদের মধ্যে অনেকে চোখের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন, যার মধ্যে ছানি, চোখে চাপ বেড়ে যাওয়া, চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া অন্যতম।
প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি ছানি অপারেশনের জন্য রোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বগুড়া ওয়াইএমসিএ’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যক্ষ বরার্ট রবিন মারান্ডী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো প্রান্তিক পর্যায়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া। আমরা দেখতে পাই, অনেক মানুষ শুধুমাত্র অর্থের অভাবে চোখের সঠিক চিকিৎসা করাতে পারে না, যা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করে। এ ধরনের ফ্রি চক্ষু শিবির আমরা নিয়মিত আয়োজন করছি এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখব। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া ওয়াইএমসিএ’র ইপকপ প্রকল্পের শাখা ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন, প্রেস সচিব আজাহার আলী এবং বগুড়া মিশন হাসপাতালের চক্ষু শিবিরের সুপারভাইজার নুরুল ইসলামসহ প্রমুখ।