ঢাকা রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নবীনগরে বাদাম চাষে বাড়ছে কৃষকের আয়

নবীনগরে বাদাম চাষে বাড়ছে কৃষকের আয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে বাদামের আবাদ। চলতি রবি মৌসুমে পুরো উপজেলায় প্রায় ৮৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং, দড়িলাপাং, চর লাপাং, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পূর্ব কৃষ্ণনগর এবং বীরগাঁও ইউনিয়নের নজরদৌলত এলাকায় সবচেয়ে বেশি বাদাম আবাদ হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা বাদামকে ঘিরেই স্বপ্ন বুনছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নবীনগরে প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক রবি ও খরিফ মৌসুমজুড়ে বাদাম চাষ করেন। বাদামে রোগবালাইয়ের প্রকোপ তুলনামূলকভাবে কম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি বিঘায় ৭ থেকে ৮ মণ বাদামের ফলন পাওয়া যায়, ফলে বাদাম চাষ করে কৃষকরা ভালো আয় করতে পারেন। কৃষি বিভাগ থেকেও কৃষকদের উৎসাহ ও সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় কৃষকদের পাশাপাশি আশপাশের অনেকেও এখন বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

কৃষ্ণনগরের কৃষক মনির হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৯ বিঘা জমিতে চিনাবাদাম আবাদ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকার মাটিতে বাদামের ফলন ভালো হয়, বাজারদরও ভালো। বিঘা প্রতি ৭ থেকে ৮ মণ ফলন পাওয়া যায়।’ লাপাং গ্রামের কৃষক কামাল মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৩ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। বাদামে রোগবালাই কম হওয়ায় অল্প খরচে বেশি লাভ করা সম্ভব।’ নবীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, ‘বাদাম নবীনগরের অন্যতম অর্থকরী ফসল। বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলোতে বাদামের আবাদ বেশি হয়। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সহায়তা ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বাদাম একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় ভবিষ্যতে এর আবাদ আরও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত