গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তালতলী উপজেলা শহর এলাকায় বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হক ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুনের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পূর্বঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহিদুল হকের নেতৃত্বে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা ফরাজী মেডিকেলের সামনে মানববন্ধনে অংশ নিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল ফরাজী মেডিকেলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা নেতাকর্মী ও বিক্ষোভ মিছিলে থাকা নেতাকর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা শুরু হয়। আর সেখান থেকেই এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহতদের তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এলাকা ত্যাগ করেন। নৌবাহিনী ও তালতলী থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয় পক্ষকে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষ চলাকালে বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, যদিও পুলিশ জানিয়েছে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি শাহজালাল বলেন, দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল, এতে উত্তেজনা বাড়ে। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এক আম ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন। তারই প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার মানববন্ধনের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হকপন্থি নেতাকর্মীরা। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। নৌবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।