রংপুর বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাবরেটরির পরীক্ষণ কার্যক্রম গতকাল মঙ্গলবার কার্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাবের শুভ উদ্বোধন করা হলো। মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাব একটি বিশেষায়িত ল্যাব যেখানে বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র জীবাণু যেমন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও পরজীবী শনাক্ত এবং বিশ্লেষণ করা হয়। উক্ত ল্যাবে বিভিন্ন পরীক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে খাদ্য, প্রসাধনী, পানি প্রভৃতি পণ্যের জীবাণু পরীক্ষা করা হয়। নিরাপদ, জীবাণুমুক্ত এবং বিএসটিআই এর গাইড লাইন অনুযায়ী মানসম্পন্ন পণ্যের উৎপাদন নিশ্চিত করতে মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। খাদ্যে জীবাণু থাকলে তা খাদ্য বাহিত বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে, অন্যদিকে প্রসাধনীতে জীবাণু থাকলে ত্বকে সংক্রমণ বা অ্যালার্জি জনিত রোগ হতে পারে। মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে ক্ষতিকর জীবাণু যেমন সালমোনেলা, ই.কোলাই (খাদ্যে), স্ট্যাফাইলোকক্কাস, সিউডোমোনাস (প্রসাধনীতে) আগে থেকেই শনাক্ত করা যায়। মাইক্রোবিয়াললোড ও খাদ্যনষ্টকারী/পচনকারী জীবাণু পরীক্ষাপূর্বক পণ্যের সঠিক স্থায়িত্বকাল ও সংরক্ষণকাল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। টোটাল প্লেট কাউন্ট/টোটাল ভাইয়াবল কাউন্ট, ইস্ট অ্যান্ড মোল্ড কাউন্ট, টোটাল কলিফর্ম কাউন্ট, ফেকাল কলিফর্ম কাউন্ট, সালমোনেলা, ই.কোলাই, শিগেলা, সিউডোমোনাস এরুগিনোসা, স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, ক্যান্ডিডা অ্যালবিকানস ইত্যাদি প্যারামিটার এখন থেকে মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাবে পরীক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হলো। এ বিষয়ে অফিস প্রধান প্রকৌঃ মুবিন-উল-ইসলাম, উপ-পরিচালক (পদার্থ) জানান যে, এই ল্যাব চালুর পূর্বে রংপুর বিভাগের স্টেকহোল্ডারা সংশ্লিষ্ট পণ্যের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই ঢাকা/রাজশাহী ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠাতে হতো যা ছিল সময় সাপেক্ষ।