ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দিতে (হাইওয়ে ১৫ কিলোমিটার সীমানায়) গত ৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৩ জন, আহত হয়েছে প্রায় ২১ জন এবং নিয়মিত থানায় মামলা হয়েছে ১৫টি। হাইওয়ে পুলিশ জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গত ৬ মাসে মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে ১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও পুরুষসহ নিহত হয়েছে ১৩ জন, আহত হয়েছে প্রায় ২১ জন এবং নিয়মিত থানায় মামলা হয়েছে ১৫টি। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে-ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, চালকরা চলন্ত গাড়িতে মোবাইলে কথা বলা, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা। তরুণ যুবকদের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো। জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। পরিবেশবিদ মতিন সৈকত বলেন, মহাসড়কে নিষিদ্ধ সিএনজি চালিত অটো রিকশা, থ্রি-হুইলার, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা এসব তিন চাকার যানবাহনের চালকরা বেপরোয়া গতিতে চলার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে, পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, চলতি বছরে গত ৬ মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে ৪৯৫টি নিষিদ্ধ যান আটকসহ জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্স ,ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রোড পারমিট না থাকা, দ্রুত গতিতে চলমান গাড়ি সর্বমোট ৫৬৭টি গাড়ির প্রায় ১৭ লাখ টাকা। জরিমানাসহ মামলা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে দুরপাল্লার যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে স্পিডগান ব্যবহার করছি এবং দ্রুত গতির যানবাহন শনাক্ত করে মামলা দিচ্ছি। মহাসড়কে যানজট নিরসন ও চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে নিয়মিত দিনে রাতে পুলিশের দুইটি টহল টিম কাজ করছে।