
টানা বৃষ্টি ও নদীর প্রবল স্রোতের কারণে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার কালিদাস পাহালিয়া নদীর ওপর নির্মিত নবাবপুর সেতু বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নদীভাঙনের ফলে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি সরে গিয়ে এটি প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় নদীর গতিপথ সোজা করার মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছে ফেনী জেলা প্রশাসন। ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায়, এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় প্রশাসন।
কার্যক্রমটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদীভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে। পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে নদীর গতিপথ সোজা করার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
ইতোমধ্যে সেতু ও সংযোগ সড়কের ভাঙন রোধে নদীর গতি নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।
নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির বলেন, ব্রিজ ও সড়ক এলাকার ঝুঁকি রোধে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি কার্যকর সমাধান আমরা হাতে নিয়েছি। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, এ কাজ বাস্তবায়নে ২৫ হাজার ঘনফুটেরও বেশি মাটি কাটা লাগতে পারে।
ইতোমধ্যে ড্রেজিংয়ের জন্য ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া এলজিইডির প্রস্তাবিত ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে ব্রিজ ও সড়ক রক্ষায় একটি স্থায়ী সমাধান সম্ভব হবে। প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী।
ভাঙন রোধে নদীর গতিপথ সোজা করার কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে নবাবপুর ব্রিজ ও সংযোগ সড়কের ভাঙনের কারণে যান চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, সেতুটি এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ, আর ভাঙনের কারণে চারপাশের রাস্তাও নষ্ট হয়ে গেছে।
এখন অন্তত কাজ শুরু হয়েছে শুনে মনে একটু সাহস পেয়েছি। আশা করি দ্রুত কাজ শেষ হবে।