
ভারী বর্ষণ হলেও অল্প সময়ের মধ্যে স্থানীয় বিভিন্ন এলাকায় পানি সরে যায়। উল্টো চিত্র কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের দশদ্রোন গ্রামে। এখানে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে জলবদ্ধতায় ২০ বছর ধরে প্রায় ২৫০টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় বসবাস করে।
গতকাল রোববার উপজেলার দশদ্রোন গ্রামের মাওলানা আবু সাইদ মুহাম্মাদ আবদুস সবুর (৫০), সাইফুল ইসলাম (৪৯), ইসহাক মিয়া (৫৫), রোক্কু মিয়ার (৬০) সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, দশদ্রোন গ্রামে প্রায় ২৫০টি পরিবারের বসবাস। বৃষ্টির মৌসুম এলেই আমাদের এই দুরবস্থা শুরু হয়। গত ২০ বছর ধরে আমরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। কিন্তু কেউ আমাদের খবর নেয় না। তারা আরও বলেন, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য ২৫০ হাত লম্বা একটি ড্রেইন অতীব প্রয়োজন। কিন্তু কেউ উদ্যোগ নিচ্ছেন না। ফলে এই পরিবারের মানুষগুলো দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আর এ দুর্ভোগ কেমন হতে পারে তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবেন।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার দশদ্রোন গ্রামের প্রায় ২৫০টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় বসবাস করছে। কারণ বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের নেই কোনো ব্যবস্থা। ফলে বর্ষার মধ্যে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। বাড়ি থেকে বাজারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে হলে পানি মাড়িয়ে যেতে হয়। এ কারণে বাসিন্দাদের অনেকের পায়ে ঘা হয়ে গেছে। জনপ্রতিনিধিসহ কারও সহানুভূতি না পেয়ে বাধ্য হয়ে এভাবেই বসবাস করছেন গ্রামবাসী। আরও দেখা যায়, বিদ্যালয় ছুটির পর শিশুরা হাঁটু সমান পানি মাড়িয়ে বাড়িতে প্রবেশ করছে। অনেকে হাটবাজার করে বাড়িতে ফিরছেন জুতো হাতে নিয়ে। বাজার থেকে গ্রামে প্রবেশের রাস্তাটি হাঁটু সমান পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রতন মিয়া বলেন, প্রতি বর্ষা মৌসুমে দশদ্রোন গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। গ্রামবাসী তাকে বিষয়টি জানিয়েছে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান সাইম দাদ খান নওশাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পানি নিষ্কাশনের পথটা সুগম করে দিবেন।
তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইম দাদ খান নওশাদ বলেন, বর্ষাকালে দশদ্রোন গ্রামে পানি আটকে থাকার কারণটি হল ড্রেইনের ব্যবস্থা না থাকা। আমি গ্রামবাসীকে বলেছি ড্রেইনের জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য।