
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন পর্যটকদের জন্য ওয়েবসাইট উদ্বোধন ও পর্যটন সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দিন। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন- নিসোসিয়ার প্রাইভেট কোম্পানি লি. এর মালিক রানা।
সেন্টমার্টিন ট্যুরিজমের পর্যটকদের দর্শনীয় স্থানসমূহ এবং হোটেল মোটেল ও রেস্তোরাঁ ওয়েবসাইটে সংযুক্ত বিষয়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত সংক্রান্ত বিষয়ে উপস্থাপনা করেন, প্রাইভেট লিমিটেড ‘নিসোসিয়ার’ প্রকল্প ম্যানেজার ওমর ফারুক। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ হাসান উদ্দিন বলেন, সেন্টমার্টিন বাংলাদেশর একটি আকর্ষণীয় প্রবাল দ্বীপ। প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে দেশি ও বিদেশি পর্যটক আগমন ঘটে। এ প্রবাল দ্বীপে ১৭০টি আবাসিক হোটেল মোটেল ও রেস্তোরাঁসহ হাউজ আবাসিক রয়েছে। টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকদের যাতায়াতকারী জাহাজ, স্পিড বোট ও কাটের বোট নিয়োজিত রয়েছে। পর্যটন ব্যবস্থা বিকাশের লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করে পর্যটক এবং সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে নিয়ে আসা হয়েছে। যাতে পর্যটক এবং আবাসিক হোটেল মোটেল মালিকেরা ভোগান্তির শিকার না হয়।
এর মূল উদ্দেশ্য সেন্টমার্টিন ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে সুবিধা লাভ এবং পর্যটকেরা নানা ভোগান্তি থেকে অবসান পাওয়া। সেন্টমার্টিন পর্যটন ব্যবস্থা ছাড়াও স্থানীয় সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন, হোটেল সেনসোরের মালিক মাওলানা আব্দুর রহমান, নাসির উদ্দিন, সাবেক মেম্বার আব্দুর রহমান, বোট মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ, সোহেল আহমদ, হোটেল মারমেডের মালিক তৈয়ব উল্লাহ ও হোটেল দ্বীপান্তরের মালিক সামজাদুল ইসলাম। বক্তারা বলেন- সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একটি ভূখণ্ড হলেও দ্বীপের বসবাসরত জনগণ নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। পরিবেশের দোহাই দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।