বলিপ্রেমীদের মনে জায়গা করে দীপিকা পাড়ুকোন এবার নাম লেখালেন খেলার মাঠে। পাড়ুকোনের ৭০তম জন্মদিনে ব্যাডমিন্টন স্কুল উদ্বোধন করেছেন এ অভিনেত্রী। যেই পরিবারের শয়নে-স্বপনে শুধুই ব্যান্ডমিন্টন, সেই পরিবারের মেয়ে হিসেবে দীপিকা যে বাবাকে তার জন্মদিনের সেরা উপহারটা দিয়ে দিয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। স্কুলের নাম ‘পাড়ুকোন স্কুল অফ ব্যাডমিন্টন’। ইনস্টাগ্রামে বাবার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে দীপিকা লিখলেন : ‘যেহেতু ব্যাডমিন্টন খেলার পরিবেশে বড় হয়েছি, তাই নিজের চোখে দেখেছি এই খেলাটি কারও জীবনকে শারীরিক-মানসিক, এমনকি আবেগের দিক দিয়ে কতটা প্রভাবিত করতে পারে। এই পাড়ুকোন স্কুল অব ব্যাডমিন্টনের (পিএসবি) মাধ্যমে, আমরা সমাজের সব স্তরের মানুষের কাছে ব্যাডমিন্টন খেলার আনন্দ এবং শৃঙ্খলা পৌঁছে দিতে চাই এবং নতুন প্রজন্মকে আরও স্বাস্থ্য সচেতন, মনোযোগী এবং খেলাধুলায় অনুপ্রেরণা জোগাতে চাই।’
বাবার উদ্দেশে দীপিকা লেখেন, ‘বাবা, যারা তোমাকে ভালো করে চেনেন, তারা জানেন এই খেলা নিয়ে তোমার আবেগ কীরকম। ৭০ বছর বয়সেও তুমি খাও, ঘুমাও এবং শ্বাস নাও ব্যাডমিন্টনের মাধ্যমেই। আর আমি তোমার আবেগকে বাস্তবায়িত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আজ থেকে ব্যাডমিন্টন সবার জন্য। শুভ জন্মদিন।’ অভিনেত্রীর শেয়ার করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রতি বছর পাড়ুকোন স্কুল অব ব্যাডমিন্টন ৭৫টি করে সেন্টার খুলবে। আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে আড়াইশোটি ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার ঘোষণা করেছেন দীপিকা। যদিও বেঙ্গালুরু, মুম্বাই, চেন্নাই, জয়পুর, পুনে, নাসিক, মাইসুরু, পানিপথ, দেরাদুন, উদয়পুর, কোয়েম্বাটোর, সাংলি এবং সুরাটসহ ভারতের ১৮টি শহরে ৭৫টিরও বেশি ব্যাডমিন্টন স্কুল রয়েছে প্রকাশ পাড়ুকোনের উদ্যোগে। যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে এবার বাবার সেই স্বপ্নকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগী দীপিকা। মডেল হিসেবে নিজের ইনিংস শুরুর আগে ‘শাটলার’ হিসেবেই ক্যারিয়ার শুরু করেন দীপিকা। পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনে কাজ করার পর গ্ল্যামার দুনিয়ার স্পটলাইট কেড়ে নেন তিনি। দীপিকা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি যদি অভিনেত্রী না হতেন, তাহলে মডেল হতেন, আবার তিনি যদি মডেল নাও হতেন, তাহলে অবশ্যই ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার হতেন। মডেলিং ও অভিনয় তার এখনকার প্রেম হলেও ব্যাডমিন্টন যে তার প্রথম প্রেম তা একাধিকবার স্বীকার করেছেন তিনি।
