জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি ও সংশোধনে ঘুষ লেনদেনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দেশের ১৩ জেলা নির্বাচন অফিসে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের জেলা কার্যালয় থেকে একযোগে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক নির্বাচন অফিসে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম হাতেনাতে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, গতকাল সারা দেশের ১৩ নির্বাচন অফিসে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত বলা হবে। যেসব অফিসে দুদকের অভিযান– দুদকের বিভিন্ন জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলা নির্বাচন অফিস।
অভিযোগ মূলত জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি ও সংশোধনসহ বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে ঘুষ ও হয়রানি। অভিযোগ রয়েছে দালালের মাধ্যমে লেনদেনের। এর আগে গত ৭ মে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ লেনদনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ঢাকাসহ ৩৫ বিআরটিএ অফিস, গত ২৯ এপ্রিল বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে প্রধান কার্যালয়সহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ৩৬ অফিসে এবং গত ১৬ এপ্রিল দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি ও নকল উত্তোলনসহ অন্যান্য কাজে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি এবং ঘুষ দাবিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে দেশের ৩৫ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি সেবা নিয়ে একযোগে ১৩ নির্বাচন অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
নতুন চার পরিচালক পেল দুদক : চারজন উপ-পরিচালককে পরিচালক পদে পদোন্নতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। গতকাল সোমবার প্রধান কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন- মো. হেজাজ উদ্দিন শরীফ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. ফজলুল হক ও মোহাম্মদ নূরুল হুদা। আদেশে বলা হয়, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর গ্রেড-৫ অনুযায়ী এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সবাই বর্তমানে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত।