ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল দেশ, গ্রেপ্তার ৫

* অনলাইন থেকে ভিডিও-ছবি সরানোর নির্দেশনা হাইকোর্টের * নারী নির্যাতনকারীর রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না : ফখরুল * ধর্ষণের ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে বিচার করব : আইন উপদেষ্টা * আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে ফজর আলীর ছবি ভাইরাল, গ্রেপ্তার পাঁচ * গাইবান্ধা ও রামুতে ধর্ষণের ঘটনায় গণপিটুনিতে দুইজনের মৃত্যু * ধর্ষণের বিচারের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল দেশ, গ্রেপ্তার ৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও কক্সবাজারের রামু ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজন গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। মুরাদনগরের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতসহ অনলাইন থেকে ভুক্তভোগীর ভিডিও ও ছবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জানা গেছে, কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় গত শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেন ওই নারী। ওই নারী বলেন, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এসময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। ওই নারীর পাশের বাড়ির এক সদস্য বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করি।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনার সময় ফজর আলীকে স্থানীয় লোকজন আটকে মারধর করেন। পরে তাকে কুমিল্লা শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী নারী মামলার করার পর অভিযানে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে। তারা হলেন মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলায়।

মুরাদনগরে নারী ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এর প্রতিবাদে রাতেই মিছিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের একদল শিক্ষার্থী। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল থেকে এ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি প্রথমে ভিসি চত্বর হয়ে রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের সামনের রাস্তা দিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়। এসময় তারা সেখানে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ স্লোগান দেন। ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নেই’, ‘সোনার বাংলায় ধর্ষণ কেন, প্রশাসন জবাই চাই’, ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ নানা স্লোগান দেন। শ্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাবি ক্যাম্পাস।

বিএনপির বিবৃতি: মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নারী নির্যাতনকারী অপরাধীদের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। তারা মানবসভ্যতার শত্রু, আমি অবিলম্বে ওই নারীকে নির্যাতনকারী দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’ গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক নারীকে ধর্ষণ ঘৃণ্য ঘটনা। এই ঘটনা দেশের মানুষকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। অথচ একটি কুচক্রী মহল এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আমলের মতো সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি দখল ও নির্যাতন করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর ধারাবাহিকতা এখনও চলছে। ওই এলাকার একজন উপদেষ্টা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মুরাদনগরে ক্রমাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন। দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পেয়ে সমাজবিরোধী নানা অপকর্মে মেতে উঠেছে।’ ‘এ ক্ষেত্রে দুস্কৃতিকারিরা দেশ-বিদেশ থেকে অবিরাম মদত পাচ্ছে। উপদেষ্টা যদি জনসেবার চেয়ে আত্মসেবাতেই ব্যস্ত থাকেন, তাহলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হবে। মুরাদনগরের বাসিন্দা উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী এমপিদের মতো এলাকায় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারে ব্যস্ত রয়েছেন।’ বিবৃতিতে বলা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণ ও সহিংসতা মনুষ্যত্বহীন, অমানবিক, পাশবিক এবং বিশেষের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের অভিসন্ধি। আবারও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার আওয়ামী নোংরা কৌশলেরই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। হাসিনার পতনের পরও আমাদের চিরচেনা সেই সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে না এনে বরং বিনষ্ট করা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এদিকে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা অর্থবিত্তে সজ্জিত। নারী নির্যাতনসহ সহিংস সন্ত্রাসের গোপন অভিযান চালিয়ে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে বিপজ্জনক গোপন অপতৎপরতায় লিপ্ত। শক্তিশালী পক্ষের আশির্বাদ আছে বলেই দুর্বৃত্তরা সহিংস কার্যাবলী চালাতে উৎসাহিত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সত্যের জন্য, সম্মানের জন্য ও আত্মমর্যাদার জন্য ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবাইকে দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করতে হবে সুস্থ সমাজ ও নিরাপদ রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য।’

আইন উপদেষ্টা: গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনার বিচার করবো। এতে আমরা বদ্ধপরিকর। আসিফ নজরুল বলেন, ওই ধর্ষণের ঘটনায় সাধারণ নাগরিকদের মতো আমরাও মর্মাহত। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধান আসামিসহ যারা ছবি ছড়িয়ে দিয়েছে, সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করেছি। দ্রুততম সময়ে আপনারা মাগুরার ঘটনার বিচার দেখেছেন। মুরাদনগরের ঘটনাও আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিচার করবো।

হাইকোর্টের নির্দেশনা: মুরাদনগরের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন থেকে ভুক্তভোগীর ভিডিও ও ছবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর এ কে এম নূরুন্নবী আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও তানিম খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির। পরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর এ কে এম নূরুন্নবী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ভুক্তভোগী নারীর ভিডিও ছবি কেন সরানোর নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিতের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও সামাজিক মাধ্যম থেকে ভুক্তভোগীর ভিডিও ছবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে ও আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে বলে শুনেছেন। এ মামলার তদন্তের অগ্রগতি আগামী ১৪ জুলাই আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

ফজর আলীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ধূম্রজাল: কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফজর আলীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। ফজর আলীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তার মিটিং মিছিলের একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ওই ছবিগুলোর কোনটিতে ফজর আলীকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন, কোনটিতে আবার খোকন চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফজর খাচ্ছেন এবং কোনটিতে আওয়ামী লীগের দলীয় একটি মিছিলের সামনের সারিতে থাকতে দেখা গেছে। তবে ধর্ষণের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত ফজর বিএনপির কর্মী বলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রচার করা হয়।

রামুতে এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টা: কক্সবাজারের রামুতে আবদুল মন্নান (২৬) নাামে এক ডাকাত দলের সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে গ্রামবাসী। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের কম্বনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল মন্নান একই এলাকার মছন আলীর ছেলে। রামু থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মোহাম্মদ ফরিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, গতকাল সকালে স্থানীয় এক তরুণীকে বাড়িতে ঢুকে ডাকাত আবদুল মন্নান ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই তরুণীকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকার শুনে আশপাশের প্রতিবেশিরা জড়ো হন। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে মন্নানকে গণপিটুনি ও কুপিয়ে হত্যা করে। রামু থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ ফরিদ বলেন, নিহতের নামে খুন, ডাকাতি, অপহরণের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বাবা এবং আরও তিনভাইও ডাকাতিতে জড়িত। স্থানীয় খুনিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এসএম ফরিদ বলেন, মছন আলী ও তার ছেলেদের একটি সশস্ত্র ডাকাত বাহিনী রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও বাড়ি-ঘরে ডাকাতি করে আসছে। স্থানীয় গ্রামবাসী তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। গত শুক্রবার স্থানীয় গ্রামবাসী ডাকাত মছন বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক তিন ঘন্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এ বিক্ষোভের দুইদিনের মাথায় গণপিটুনিতে মারা যায় আবদুল মন্নান।

গাইবান্ধায় ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনিতে হাবিল মিয়া (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। গত শনিবার রাত ১২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া গ্রামে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিল মিয়া একই গ্রামের মৃত কাসেম আলীর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে পলুপাড়া গ্রামের হাবিল মিয়া একই গ্রামের ৬ বছরের একটি শিশুকে ফুসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে পরিবার জানতে পেরে শিশুটিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। গত শনিবার রাতে এলাকাবাসী হাবিল মিয়াকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে পিটুনি দেন। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত হাবিল এলাকাবাসীর পিটুনিতে নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত