মধ্যপ্রাচ্যের চির বৈরী দুই দেশ ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে গত ১২ দিন ধরে চলা সংঘাত অবসানের ইঙ্গিত মিলেছে। এ সংক্রান্ত ট্রাম্পের ঘোষণার পর তা মেনে নিয়েছে ইরান ও ইসরায়েল।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পরই গাজায় ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে তিনি লিখেছেন, ‘এখন বাকি শুধু গাজা। সেখানেও যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহতভাবে হামলা ও নির্বাচারে গুলিতে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বর্বর বাহিনীর হামলায় ও গুলিতে গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। গত সোমবার নিহতদের মধ্যে ২০ জন ত্রাণপ্রার্থীও ছিলেন, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি মেডিকেল সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
গাজার মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, সোমবার ভোর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অব্যাহত হামলায় কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান এই আগ্রাসনে নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সোমবার নিহত ৪৩ জনের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা জিএইচএফ পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন। জাতিসংঘ এই ফাইন্ডেশনকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। গত ২৭ মে থেকে জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণ শুরুর পর থেকে ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত ও প্রায় এক হাজার জন আহত হয়েছেন। গাজা সিটি থেকে আল-জাজিরার হানি মাহমুদ বলেন, ‘ইসরায়েল ইরানের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত, একইসঙ্গে তারা গাজা উপত্যকাজুড়ে তাঁবু বা আবাসিক বাড়িতে মারাত্মক বিমান হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।’